‘সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় দুঃসময় আমরা অতিক্রম করব’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. ইমদাদুল হক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় করোনার এ দুঃসময় আমরা অতিক্রম করব।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) নগর ভবনে অতি দরিদ্রদের জন্য সাজেদা ফাউন্ডেশনের নগদ অর্থসহায়তা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে নগরীর অতি দরিদ্রদের মধ্যে সাজেদা ফাউন্ডেশনের নগদ অর্থসহায়তা কার্যক্রম একটি মানবিক ও মহতি উদ্যোগ। বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে শহরের অতি দরিদ্র জনগণ। কিন্তু তাদের দুর্ভোগ লাঘবে ইতিমধ্যে সরকার যথাসম্ভব সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এরপরও সরকারের একার পক্ষে এ ধরনের পরিস্থিতি সামাল দেয়া বেশ কষ্টসাধ্য। অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ লাগবে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশের মতো সংস্থাগুলো এগিয়ে এসেছে, যা প্রশংসনীয়।
প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, করোনার কারণে বিশ্বের অর্থনীতি আজ বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, অদূর ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতি পুনরায় গতি ফিরে পাবে।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড-বাংলাদেশের হেড অব আরবান প্রোগ্রাম জাকির আহমেদ খান বলেন, দেশের এ সংকটকালে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি সহায়তা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আইরিশ এইডের আর্থিক সহায়তায় কানসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড-বাংলাদেশ, সাজেদা ফাউন্ডেশন, সিপ ও নারী মৈত্রী যৌথভাবে পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত বস্তিবাসী, আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ‘ইম্প্রভিং দ্য লাইভস অব আরবান এক্সট্রিম পুওর (আইএলইউইপি)’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে। এ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ৫ হাজার ২০০ অতি দরিদ্র পরিবারের প্রত্যেককে নগদ ৩ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম নগদ-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতি দরিদ্র পাঁচ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফুর রহমান সিদ্দীক, সাজেদা ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন এবং সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/জেআইএম
