জুনেই ছিল করোনার ‘পিক টাইম’

মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল
মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:২৭ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্কে চার মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থমকে আছে। প্রতিনিয়ত করোনা আতঙ্ক তাড়া করছে সবাইকে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।

সীমিত পরিসরে সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত, গণপরিবহন ও মার্কেট খুলে দেয়া হলেও কারো মধ্যে স্বস্তি নেই। সবার মুখে একটাই প্রশ্ন– কবে করোনামুক্ত হবে দেশ, আগের মতো স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরা যাবে?

বিশ্বের অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর একটা নির্দিষ্ট সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত-মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে থাকে। তাই দেশের মানুষের মনে বর্তমানে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা হলো– বাংলাদেশ কি করোনা সংক্রমণের ‘পিক টাইম’ (চূড়ান্ত পর্যায়) অতিক্রম করে এসেছে, নাকি এখনও সেই অবস্থায় পৌঁছায়নি, আর না পৌঁছালেও কবে নাগাদ পৌঁছাবে?

Corona-2

রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, চলতি মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দেখে মনে হচ্ছে, গেল মাসেই (জুন) বাংলাদেশ করোনা সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল। চলতি মাসে ধীরে ধীরে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার কমে আসছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় সংক্রমিত রোগ শনাক্ত কম হচ্ছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়। আজ (১৫ জুলাই) পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে মোট ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪০২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৯০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে মোট ২ হাজার ৪৫৭ জন।

corona-death

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৮ হাজার ৩৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত ও ১ হাজার ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়।

করোনা সংক্রমণের মাসওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্চে ৫১ জন, এপ্রিলে ৭ হাজার ৬১৬ জন, মে ৩৯ হাজার ৪৮৬ জন, জুনে ৯৮ হাজার ৩৩০ জন এবং ১৫ জুলাই পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১০৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এসব মাসে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৫, ১৬৩, ৪৮২, ১১৯৭ ও ৬১০ জন। জুলাইয়ের এখনও ১৫ দিন রয়েছে। বর্তমানে যে ধারায় সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছে সেই ধারা অব্যাহত থাকলে জুনের তুলনায় এ মাসে সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমতে পারে।

এমইউ/এমএসএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।