করোনায় ৪৫ শতাংশ মৃত্যুই ষাটোর্ধ্বদের

মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের মৃত্যু প্রায় ৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি বয়সী ১ হাজার ১৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৪৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আজ (২০ জুলাই) পর্যন্ত দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৬৬৮ জনে। এদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ১০৪ জন ও নারী ৫৬৪ জন। শাতংশের হিসাবে পুরুষ ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ আর নারী ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী ২ হাজার ৬৬৮ জনের বয়স বিশ্লেষণে শতাংশের হিসাবে শূন্য থেকে ১০ বছরের ১৮ জন বা দশমিক ৬৭ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ২৯ জন বা এক দশমিক ০৯ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৮০ জন বা ৩ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৮২ জন বা ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩৮১ জন বা ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৭৮৭ জন বা ২৯ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ১ হাজার ১৯১ জন বা ৪৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মোট মৃত ৫০ জনের মধ্যে ১০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ৩০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ৪০ বছরের বেশি বয়সী ১১ জন, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নয়জন, ষাটোর্ধ্ব ২০ জন, ৭০ বছরের বেশি বয়সী চারজন , ৮০ বছরের বেশি বয়সী দুইজন ও ৯০ বছরের বেশি বয়সী একজন রয়েছেন।
করোনায় মোট মৃত ২ হাজার ৬৬৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৩০৫ জন বা ৪৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৭৩ জন বা ২৫ দশমিক ২২ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে ১৪৪ জন বা ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, খুলনা বিভাগে ১৭৩ জন বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, সিলেট বিভাগে ১২৫ জন বা ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে ১০০ জন বা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে ৯০ জন বা ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৮ জন বা ২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, সাত জন চট্টগ্রাম বিভাগের, পাঁচ জন রাজশাহী বিভাগের, ১০ জন খুলনা বিভাগের, দু’জন রংপুর বিভাগের, তিন জন সিলেট বিভাগের এবং দু’জন বরিশাল বিভাগের।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৯২৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। ফলে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ সাত হাজার ৪৫৩ জনে।
সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এমইউ/এমএফ/পিআর