গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে বাসের ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, এখন দেশের কোনো গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। যেসব শর্ত অনুসরণ করে বর্ধিত ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয়েছিল তার কোনোটাই মানা হচ্ছে না। সেই পুরনো কায়দায় গাদাগাদি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলছে, করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের বর্ধিত ৬০ শতাংশ ভাড়ার চেয়েও অধিকাংশ রুটে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে করোনা সংকটে কর্মহীন ও আয় কমে যাওয়া দেশের সাধারণ মানুষের যাতায়াত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

‘সরকার যাত্রীপ্রতিনিধি বাদ দিয়ে মালিকদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে করোনার এই মহাসংকটে থাকা দেশের অসহায় জনগণের ওপর একচেটিয়াভাবে বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বর্ধিত করে অযৌক্তিকভাবে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে দেশব্যাপী চলাচলরত বাস-মিনিবাসের সঙ্গে লেগুনা, হিউম্যান হলার, টেম্পু, অটোরিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশা, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন, টেক্সিক্যাবসহ সকল প্রকার যানবাহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।’

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এতে যাত্রীস্বার্থ চরমভাবে উপেক্ষিত হয়। ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানিকে আরেক দফা উসকে দেয়া হয়। ওই সময়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এই ভাড়া বৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করা হলেও তা আমলে নেয়া হয়নি।

অনতিবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধির নামে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করে দেশের প্রতি রুটে বর্ধিত ভাড়া পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

জেইউ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।