প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৩ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস বিভিন্ন রকম উপসর্গ সৃষ্টি করে। রোগ ভালো হলেও কাউকে খুব দুর্বল করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে প্লাজমা প্রদানের বিষয়টি আরও অনেক প্রচার হওয়া দরকার। অধ্যাপক ডা. এম এ খানের নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি জেলায় প্লাজমা সেন্টার হওয়া দরকার’।

১৫ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘গণস্বাস্থ্য প্লাজমা সেন্টার’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব বলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্লাজমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান। গণস্বাস্থ্যের প্লাজমা সেন্টারে প্রতিদিন ২৫ জন করোনামুক্ত রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।

ডা. এম এ খান বলেন, ‘প্লাজমা থেরাপি কোনো সময় কাকে দিতে হবে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি আগে থেকে প্ল্যান করি, বয়স্ক রোগী যারা রয়েছেন, তাদের যদি আমরা কোভিড আক্রান্ত হওয়ার সাথে সাথে দিতে পারি, এটা হলো উত্তম। সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত এটা খুব কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি’।

প্লাজমার প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে এম এ খান বলেন, ‘বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ডোনারদের কারও কারও নমুনায় অ্যান্টিবডি কম থাকে। যারা অধিকমাত্রায় আক্রান্ত হন, যাদের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ বেশি থাকে, তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি বেশি থাকে। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অ্যান্টিবডি পরিমাপ করা। অ্যান্টিবডি টেস্ট দ্রুত করা দরকার’।

‘প্লাজমা ফেরেসিস পদ্ধতিতে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়, যা করা হয় একটা মেশিনের সাহায্যে। সেটা ব্যয়বহুল। একটা মেশিনের দাম প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা। করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর রক্ত থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা যায়। এখানে সমস্যা হলো একজন ব্যক্তি থেকে যে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে তা একজনকে, শুধু একবার দেওয়া যাবে’।

পিডি/এমআরএম/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।