কাঠবিড়ালীর সঙ্গে তার সখ্য!
শীতের সকালে মিষ্টি রোদে চেয়ার পেতে বসে আছেন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মর্নিং শিফটে কর্তব্যরত একজন আনসার সদস্য। প্রাতঃভ্রমণকারীরা তার সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়াচ্ছেন।
পথচারীদের কয়েকজন বলাবলি করছিলেন, ‘কী অবাক কাণ্ড! দেখেন কাঠবিড়ালী দুটি কেমন ভয়ভীতিহীনভাবে আনসার সদস্যের পায়ের কাছে হেঁটে বেড়াচ্ছে, বিস্কুট খাচ্ছে আবার তিড়িং-বিড়িং করে লাফিয়ে পাশের নারকেল গাছে উঠছে আর নামছে।’
লম্বা শরীরের ছোট দুই পায়ের দীর্ঘ লেজবিশিষ্ট কাঠবিড়ালীটি আনসার সদস্যের মুখের কাছে উঠে দারুণ ভঙ্গিতে এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করছিল। একটি কাঠবিড়ালী বুটজুতা বেয়ে ওপরে আনসারের হাতে উঠে আসে। হাতে থাকা বিস্কুট ঠুকরে খায়।’
কৌতূহলবশত সামনে এগিয়ে এ প্রতিবেদক কাঠবিড়ালীর সঙ্গে তার এমন সখ্য কীভাবে গড়ে উঠলো? জানতে চাইলে মো. ওবায়েদুর রহমান নামের ওই আনসার সদস্য জানান, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে পাঁচটি কাঠবিড়ালীর সঙ্গে তার মিতালি গড়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল-বিকেলে কাজের সময় কাঠবিড়ালীগুলো যেখানেই থাকুক না কেন, তার কাছে ছুটে আসে। তিনিও ওদের জন্য হাতে করে বিস্কুট কিংবা বাদাম নিয়ে আসেন।
ওবায়েদুর রহমান জানান, কখনও চেয়ারে রেখে দেন আবার কখনও নিজ হাতে রেখে ওদের জন্য অপেক্ষা করেন। পাঁচটি কাঠবিড়ালীর মধ্যে চারটি নিয়মিত তার কাছে এলেও একটি মাঝে মাঝে আসে। ওদের সাথে ভালো সময় কাটে বলে জানান ওয়াবেদ। একদিন না এলেও মনটা খারাপ হয় তার।
ওয়াবেদ আরও জানান, রমনা পার্কে এক ব্যক্তির সঙ্গে কাঠবিড়ালীর এমন সখ্য দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে ওদের সঙ্গে মিতালি গড়ে তুলতে চেষ্টা করেন। প্রথম প্রথম দেখলেই ভোঁদৌড় দিতো। কিন্তু ধীরে ধীরে ওরা আপনজন হয়ে ওঠে। দুই মাসেরও বেশি সময় দরে ওদের খাওয়াচ্ছেন।
কাঠবিড়ালীগুলো এখন তার হাতে ও পায়ে ওঠে, দৌড়াদৌড়ি করে আবার তার কাছে ছুটে আসে বলে জানান ওয়াবেদ।
এমইউ/বিএ/এমএস