‘আয় রোজগারের আশায় ভাসানচরে যাচ্ছি’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বুচিদং এলাকার বাসিন্দা আয়শা বেগম। তিন সন্তান, স্বামীসহ আট সদস্যের পরিবার নিয়ে থাকতেন কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে।
প্রথম পর্যায়ে আড়াই হাজার রোহিঙ্গার সঙ্গে আয়শার পরিবারও যাচ্ছে ভাসানচরে। দুই বছর ধরে বালুখালী ক্যাম্পে ছিল আয়শার পরিবার।
কেন ভাসানচরে যাচ্ছেন জানতে চাইলে আয়শা জাগো নিউজকে বলেন, ভাসানচরে গেলে নাকি আয় রোজগার করা যাবে। সেখানে নাকি বালুখালী ক্যাম্প থেকেও বেশি সুবিধা পাবো। এ জন্য ভাসানচরে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পে এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থার সহায়তায় চলতে হয়। এভাবে আর কতদিন চলা যায়। তাই ভাসানচরে চলে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে ১০টি গাড়ি বিএফ শাহীন কলেজে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে পৌঁছে।
এর আগে দুপুরে ২১টি বাসে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয় রোহিঙ্গারা। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলোতে অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গা থাকতে পারে বলে ধারণা রোহিঙ্গা নেতাদের।
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যেতে উখিয়া কলেজ মাঠে অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। মাঠে একাধিক কাপড়ের প্যান্ডেল ও বুথ তৈরি করা হয়েছে।
আবু আজাদ/জেএইচ/এমকেএইচ