কাগজের নৌকা ভাসিয়ে ঢাকার নড়াই নদী রক্ষার ডাক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবং ঢাকার নড়াই নদী রক্ষার দাবিতে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) কাগজের নৌকা ভাসানো কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর, নদী রক্ষা জোট, নিরাপদ পানি আন্দোলন ও রিভার জাস্টিজ যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
নড়াই নদীর বর্তমান উন্মুক্ত অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার। রামপুরা ব্রিজ থেকে বনশ্রী-মেরাদিয়ায় বাঁক নিয়ে এটি সোজা পূর্বদিকে অগ্রসর হয়েছে। মিশেছে কায়েতপাড়ায় গিয়ে বালু নদীর সঙ্গে।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, অধুনালুপ্ত ধারাটি পশ্চিমে পান্থপথ হয়ে মিরপুর পেরিয়ে তুরাগে পতিত হতো। প্রবাহটিকে সরকারি কাগজপত্রে কোথাও বেগুনবাড়ি খাল, কোথাও হাতিরঝিল, কোথাও আবার রামপুরা খাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আশির দশকের শুরুর দিকেও পূর্বাংশে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত নৌপথ চালু ছিল। তখন এই পথে হাতিরঝিল দিয়ে সবজি ও অন্যান্য জিনিসপত্র কারওয়ান বাজারে যেত। বিজিএমইএ ভবনের কাছে এখন যে মাছের পাইকারি বাজারটি রয়েছে সেটি এক সময় ছিল বালু, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও টঙ্গী নদীতে ধরা মাছের ল্যান্ডিং পোর্ট।
বক্তারা আরও বলেন, নগরবাসীর জীবনযাত্রায় নদী ও খাল দখলের প্রভাব পড়েছে। অল্প বৃষ্টিতেই সড়কগুলো জলাশয়ে রূপ নেয়। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধতা থাকছে দিনের পর দিন। ঢাকার আশপাশের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে সামান্য বন্যায়। কেবল নদী আর খালই নয়, বিলীন হয়েছে রাজধানীতে থাকা অসংখ্য পুকুরও।
নদী রক্ষা জোটের মুখপাত্র ও নোঙরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে নড়াই নদীতে কাগজের নৌকা ভাসানো কর্মসূচিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. তোফাজ্জ্ল হোসেন (সাবেক কাউন্সিলর), ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাকসুদ হোসেন মুহসীন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, নদী বিশেষজ্ঞ মো. তোফায়েল আহমেদ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, নিরাপদ পানি আন্দোলনের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, নোঙর কেন্দ্রী কমিটির সদস্য ফজলে রাব্বি সানি, মীর মোক্দ্দেস আলী শান্ত, এফ এইচ সবুজ, ইয়াছিন আরাফাত, শুভ ঘোষ, বাপ্পী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএমএ/এমএসএইচ/এমকেএইচ