নির্মূল কমিটি প্রতিহত করার দাবি ফিরোজ রশীদের

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও নাস্তিক নির্মূল কমিটি প্রতিহত করার দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কিছু সংগঠন আছে অনেকে ভুঁইফোড়। একটি সংগঠন আছে নাস্তিক নির্মূল কমিটি আর একটি সংগঠন হচ্ছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। এই নির্মূল করার ক্ষমতা এদেরকে দিয়েছে। তুমি কে লোককে নির্মূল করার? আমাদের দেশে কোর্ট-কাচারী আছে না? অনেক বিচার করেছে এই সরকার। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে ঘাতকদের বিচার হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তুমি কেন নির্মূল করতে চাও, তোমরা নির্মূল করার কারা। তোমরা নিজেরা পুলিশ পাহারায় থেকে ধান্দাবাজি করছো। এদের প্রতিহত করা দরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলবো, এই সংগঠনগুলো বন্ধ করুন, যাতে কেউ নির্মূল করতে না পারে।’
ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সেক্টরগুলো একদম দুর্বল, নড়বড়ে। ব্যাংকিং সেক্টর হাজার হাজার কোটি নিয়ে মানুষকে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। এই ব্যাংকের পরিচালক ওই ব্যাংক থেকে নেয় ওই ব্যাংকের পরিচালক এই ব্যাংক থেকে নেয়। যখন একটি দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে আত্মীয়-স্বজনের অভাব হয় না। শালা-সম্বন্ধী তার শালা তার শ্বশুরবাড়ি এরা সবাই ঝাপিয়ে পড়ে ব্যাংক থেকে লোন (ঋণ) নেয়ার জন্য। লোন পেয়েও তো যাচ্ছে। এই টাকা কোথায় যায় মনিটরিং হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়নের প্রথম ভিত রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, পরাধীন দেশে কখনো উন্নয়ন করা সম্ভব না। তাই তিনি সর্বপ্রথম বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করলেন। এরশাদ সাহেবের আমলে গ্রাম বাংলায় অভুতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে সর্বত্র। দুঃখ লাগে, সরকারের সর্বক্ষেত্রে সাফল্য কৃতিত্বের পেছনে জাতীয় পার্টির একটা ভূমিকা আছে, কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনো নেতা কোনো দিন একবারও নাম উচ্চারণ করে না। আমরা তো হাজার বার বলি, এই সরকারের এই কাজ হয়েছে। আমাদের তো কার্পণ্য নেই, তাদের কেন এতো কার্পণ্য রাজনীতিতে?’
স্কুল-কলেজ খোলা প্রসঙ্গে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই সব স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যদি বন্ধ না করতেন, একটা বিপর্যয়ের মুখে আমাদের পড়তে হতো। ফলে একটা ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে বেঁচে গেছি। শিশুরা আক্রান্ত হলে গোটা পরিবার আক্রান্ত হতো। আমার এলাকায় সবচেয় বেশি স্কুল-কলেজ। আড়াই মাসের একটি বাচ্চা দুইবার করোনায় আক্রান্ত হলো। মার্চ মাস পর্যন্ত দেখেন। করোনা কিছুটা স্তমিত হয়ে গেছে। তার মানে এই না করোনা শেষ হয়ে গেছে। মার্চ মাসের দিকে গরম আসবে, তখন স্কুল-কলেজ খুলে দিলে ভালো হবে। এই মুহূর্তে কারো কথায় স্কুল খুলবেন না।’
এইচএস/এমএসএইচ/এমএস