এবার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অফিসে তালা দিল ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংগঠন স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অফিসে তালা দিয়েছে ডিএসসিসি। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সংস্থাটির সচিব আকরামুজ্জামানের উপস্থিতিতে তালা লাগানো হয়।
ডিএসসিসি সচিব দফতর সূত্র জানায়, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কয়েক মাসের বেতন বকেয়া ছিল। সম্প্রতি বকেয়া বেতন আদায় নিয়ে সংস্থাটির হিসাব বিভাগের এক কর্মচারীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. আলী হোসেনকে মারধর করেন তারা, যা আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী। গত রোববার (২৪ জানুয়ারি) চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বরখাস্ত করেন সংস্থাটির সচিব আকরামুজ্জামান। এছাড়া এই হামলায় ইন্ধন দেয়ার অভিযোগে ডিএসসিসির স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি এম এ গনি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এর মধ্যে আজ কোনো কারণ ছাড়াই অফিসে তালা লাগিয়েছেন সচিব।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে তাদের বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না। এতে তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কবে নাগাদ বেতন দেয়া হবে সে বিষয়ে খোঁজ নেয়ার জন্যই তারা হিসাব বিভাগে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কাউকে মারধর করেননি। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে তাদের অফিসে তালা দিয়েছে ডিএসসিসি।
নগর ভবনের চতুর্থ তলায় স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের অফিস। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসের পৃথক দুটি ফটকে তালা লাগানো। অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
এর মধ্যে দুজন কর্মী জানান, প্রতি মাসের ২০-২২ তারিখ তাদের বেতন দেয়া হতো। এভাবে সাড়ে তিন হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর (দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে) বেতন বকেয়া পড়ে। সে কারণে তারা হিসাব বিভাগে গিয়ে যোগাযোগ করলে সেখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়। এ কারণে চারজন কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে।
স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, তাদের কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। নতুন কমিটি গঠনের পর তালা খুলে দেবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি সংস্থাটির সচিব আকরামুজ্জামান।
এদিকে ডিএসসিসিতে মশক নিধন কাজে দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কর্মরতরা কয়েক মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি তারা সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব দফতরের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেছিলেন।
এমএমএ/এআরএ/জিকেএস