গণগ্রন্থাগারে সরকারি অনুদান বাড়ানোর দাবি

দেশের প্রতিটি পাঠাগারে একজন করে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং সরকারি অনুদান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ।
সোমবার (৮ মার্চ) শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর সেমিনার কক্ষে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশের ৬৪টি জেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত আড়াই হাজার পাঠাগার রয়েছে। কিন্তু গ্রন্থাগারিক না থাকায় পাঠাগারগুলো পাঠকপ্রিয় হচ্ছে না। এছাড়া এসব পাঠাগার রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে পর্যাপ্ত অনুদান দিচ্ছে না সরকার। তাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এসব পাঠাগারে একজন করে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং সরকারি অনুদান বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ধরনের পাঠাগার নির্মাণে সরকার সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে। এখন বেসরকারি পাঠাগারগুলোতে সরকারি অনুদান বাড়ানো হবে। পর্যায়ক্রমে গ্রন্থাগারিক নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
কে এম খালিদ বলেন, লালমনিরহাটের এক তরুণ ‘সেলুন লাইব্রেরি’ তৈরি করে নজির স্থাপন করেছেন। এখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এখন সেলুনে বসে অযথা গল্প না করে বই পড়তে পারবেন পাঠকরা। ভবিষ্যতে সেলুন লাইব্রেরি এবং পাঠাগারের বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেয়া হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী। তিনি বলেন, বেসরকারি পাঠাগারে গ্রন্থাগারিক নিয়োগ এবং সরকারি অনুদান বাড়ানোর দাবি যৌক্তিক। বিষয়টি তিনি জাতীয় সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেবেন।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের অধীনে সারাদেশে ৮০০ নিবন্ধিত পাঠাগার রয়েছে। এসব পাঠাগারে বইসহ আনুষাঙ্গিক খরচ দেয়া হয়। তবে এই অনুদান পর্যাপ্ত নয়। ভবিষ্যতে অনুদান আরও বাড়ানো হবে।
পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশে বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. ইমাম হোসাইনের সভাপতিত্বে সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মালিক খসরু, অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী, কুমিল্লার লালমাই সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশে বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদের মহাসচিব নাসিম আহমেদ।
এমএমএ/এমআরআর/এএসএম