৩ দাবিতে স্মার্টকার্ড প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন

জনবলকে রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করাসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) বা স্মার্টকার্ড প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের নিচে তারা মানববন্ধন করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- ৩০ জুন ২০২২ পর্যন্ত ৭১ জন জনবলকে বিদ্যমান রেখে আইন অনুযায়ী প্রকল্প শেষ করতে হবে, ৭১ জন জনবলকে বিদ্যমান রেখে অর্গানোগ্রাম প্রস্তুত করতে হবে এবং ৭১ জন জনবলকে রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করতে হবে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, প্রকল্পটিতে বর্তমানে ৭১ জন জনবল রয়েছে। যারা ২০০৭ সাল থেকে ছবিসহ ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা দিয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। তবে গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ রয়েছে।
তারা বলেন, আইডিইএ প্রকল্পের ৭১ জনকে আইডিইএ প্রকল্প-২-এ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যোগদান করতে বলা হচ্ছে। অন্যথায় চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা বর্তমান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ না করে আইডিইএ প্রকল্প-২ এ যোগ দেবেন না।
কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আমরা ৭১ জন কর্মচারী বিদ্যমান প্রকল্পের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত চাকরি করতে চাই। এটি হলে পরবর্তী সময়ে আমাদের রাজস্ব খাতে যেতে কোনো বাধা থাকবে না।
টেকনিক্যাল এক্সপার্ট মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের আইডিইএ প্রকল্প ২০২২-এর জুনে শেষ হবে। কিন্তু তার আগে তাদের ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বরের পর অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা যদি প্রকল্প শেষ করতে না পারি তাহলে আমাদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করা হবে না। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করলেই আমরা রাজস্ব খাতে যাওয়ার সুযোগ পাবো।
টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পারভেজ আলম বলেন, গত ছয় মাস ধরে আমরা কোনো বেতন পাচ্ছি না। এজন্য আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছি। ভোটার তালিকা ও স্মার্টকার্ড নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত ১৪ বছর ধরে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু আশ্বাস দিয়েও আমাদের রাজস্ব খাতে আত্তীকরণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, আজ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আইডিইএ-২-তে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আগামী রোববার থেকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
দাবি না মানা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসএম/এআরএ/জিকেএস