প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় প্রেমিকের সঙ্গে অভিমান করে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৫) নামে এক মাদরাসাছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। জান্নাতুল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. মেহেদী হাসান এ তথ্য জানান।
নিহত জান্নাতুলের বাবা জহুর আলী ভূঁইয়া জানান, জান্নাতুল উত্তর বাড্ডা কামিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই মাদরাসার এক ছাত্রের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। এ বিষয়টি আমরা জানতাম না। গতরাতে তার ডায়েরি থেকে এ কথাগুলো জানতে পারি।
তিনি বলেন, আনুমানিক রাত ১১টার দিকে ওই ছাত্রের সঙ্গে মোবাইলে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জান্নাতুল নিজ রুমে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে থানায় একটি ডায়েরি করা হয়েছে। হাতে লেখা ডায়েরিটিও থানায় রয়েছে।
জহুর আলী ভূঁইয়ার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙা থানার তালকান্দা গ্রামে। বর্তমানে উত্তর বাড্ডার পূর্বাঞ্চল ১৭ নম্বর লেন কবরস্থান গেট মুরাদ মিয়ার বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো জান্নাতুল। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মো. মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল জান্নাতুলের। দুজনের মধ্যে মোবাইলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জান্নাতুল গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
কাজী আল আমিন/এমআইএইচ/এমএস