চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে র্যাবের সাঁড়াশি অভিযান, ৮ জলদস্যু গ্রেফতার

চট্টগ্রামের বাঁশখালী, কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া এলাকায় টানা ৪৮ ঘণ্টার সাঁড়াশি অভিযানে ৮ জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্র ও শনিবার (১৩ ও ১৪ মে) দিনভর এ অভিযান চালানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার পেয়ারাকাটা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মো. কালু ওরফে গুরা কালু, পূর্ব তাবলরচর গ্রামের ইবনে আমিন ওরফে ইন্নমিনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৪৭), মৃত ছদর আহাম্মদের ছেলে ছলিম উল্লাহ ওরফে বাবুল (৫৫), দক্ষিণ ধুরুং গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নুরুল বশর (৩২), পেকুয়া থানাধীন করিয়ারদিয়া গ্রামের মৃত আনসার উল করিমের ছেলে মো. আজিজুল হক অংক (৪৬), চকরিয়া থানাধীন মাইজঘোনা গ্রামের মৃত আবদুছ ছালামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৮), রামপুর গ্রামের মৃত বখতিয়ার উদ্দিনের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২৯) এবং ছৈনাম্মার ঘোনা গ্রামের মৃত আনছার উল করিমের ছেলে জিয়াবুল হক জিকু (৫০)।
এরমধ্যে আজিজুল হক অংক দুর্ধর্ষ জলদস্যু আজিজ বাহিনীর প্রধান। গুরা কালু ‘কালু বাহিনী’র প্রধান এবং সাহাব উদ্দিন ‘সাহাব উদ্দিন বাহিনী’র প্রধান।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ওয়ান শুটারগান, একটি দো-নলা বন্দুক, তিনটি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি এবং পাঁচটি ধারালো ছোরা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তারা আবার জলদস্যুতা শুরু করেছে। উপকূলীয় এলাকার লবণচাষী ও সাগরে জেলেদের ওপর অত্যাচার, জুলুম, অপহরণ করে চাঁদাবাজি করছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্র ও শনিবার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালানো হয়। এসময় ৮ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে স্ব স্ব থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এলিট এ ফোর্সের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার গুরা কালুর বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ১০টি মামলা রয়েছে। আজিজুল হক অংকের বিরুদ্ধে মহেশখালী এবং পেকুয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত তিনটি মামলা রয়েছে। সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ছয়টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার নুরুল বশরের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় একটি অস্ত্র মামলা, শহিদুলের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি সংক্রান্ত দুটি, নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনটি, ছলিম উল্লাহ বাবুলের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় অস্ত্র, ডাকাতি এবং মাদক সংক্রান্ত ১৫টি মামলা রয়েছে।
ইকবাল হোসেন/এএএইচ