মানবপাচার ও জিম্মি করে অর্থ আদায়, গ্রেফতার ৫

মানবপাচার ও জিম্মির মাধ্যমে অর্থ আদায় চক্রের পাঁচ হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) তাদের একদিনের রিমান্ড দেন আদালত।
গ্রেফতাররা হলেন- মোশায়েদ হাসান (২৬), গোলাম আজম সৈকত (৪২), মেহেদী হাসান শান্ত (২৩), মোহসিন হোসেন (২৬) ও নাইফ উদ্দিন রুদ্র (২০)।
বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর পল্টন থেকে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পল্টন থানায় গ্রেফতার পাঁচজন এবং সৌদি আরবে অবস্থানরত এই চক্রের আরেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিনসহ (৫০) মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে গ্রেফতারদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পলি আক্তার লিজার স্বামী কামরুল আহসান এবং সঙ্গে আরও পাঁচজনকে কাজের চুক্তিতে সৌদি আরবে পাঠায় ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। যাওয়ার সময় জোর করে তাদের ব্যাগে ৪-৫ কেজি জর্দা দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটির লোকজন। কিন্তু সৌদি আরবে যে কোম্পানির জন্য পাঠানো হয়, তারা তাদের রিসিভ করেনি। তবে চক্রের সদস্য মো. নাসির উদ্দিন রিসিভ করে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যান।
এরপর দীর্ঘদিন সেই ক্যাম্পে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। সেই সঙ্গে দাবি করা হয় মোটা অংকের টাকা। স্বামীকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে কিছু টাকাও দেন পলি আক্তার। পাশাপাশি ওই ক্রিয়েটিভ ইন্টারন্যাশনালের মালিক এবং কর্মকর্তাদের বিষয়টি সমাধানের জন্য জানান। কিন্তু তারা সমাধান না করে উল্টো টাকা না দিলে নির্যাতন চলবে বলে হুমকি দেন।
এরপর র্যাব-৩ এ অভিযোগ করেন মামলার বাদী পলি আক্তার। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে।
এছাড়া সৌদি আরব ক্যাম্পে আটক কামরুল আহসানসহ ১০ জনকে নির্যাতনের ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠিয়েছে চক্রটি। সে ভিডিও জাগো নিউজের হাতে এসেছে।
এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দীন মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এসইউজে/জেডএইচ/জিকেএস