লাইসেন্স ছাড়াই ৫ বছর ধরে বাস চালাচ্ছিলেন আল-আমিন
২০১২ সালে বলাকা বাসে হেলপারি শুরু করেন মো. আল-আমিন (৩২)। এভাবে তার পাঁচ বছর কেটে যায়। সবশেষ ২০১৭ সালে বনে যান চালক। শুরু করেন মনজিল এক্সপ্রেস পরিবহনের বাস চালানো। তবে তার ছিল না কোনো লাইসেন্স।
এভাবে লাইসেন্স ছাড়াই বাস চালিয়ে আসছিলেন আল-আমিন। এর একপর্যায়ে রাজধানীতে তার বাসে প্রাণ যায় এক কৃষকের। নির্মম এ মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গত ২ জুলাই সকালে মনজিল পরিবহনের বাস নিয়ে চিটাগাং রোড থেকে কামারপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন আল-আমিন। গুলিস্তানে এসে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা শুরু করেন তিনি।
এ অবস্থায় আল-আমিনের বাসটি অন্য বাসকে ওভারটেক করার সময় নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর মোল্লাকে চাপা দিয়ে উঠে যায় আইল্যান্ডের ওপর। আর এতেই নিহত হন জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার পল্টন মডেল থানায় মামলা করে।
সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ঘটনার পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে থেকে ঘাতক বাসটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে যান। এরপর ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি দল রোববার রাতে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা থেকে বাসচালক আল-আমিনকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন জানান, তিনি কর্মজীবনের শুরুতে পোশাক শ্রমিক হিসেবে পাঁচ বছর কাজ করেছেন। এরপর বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বলাকা বাসে শুরু করেন হেলপারি। সবশেষ দৈনিক ৭০০-৮০০ টাকা মজুরিতে মনজিল পরিবহনের বাস চালান।
র্যাব জানায়, আল-আমিন অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তার ড্রাইভিংয়ের ওপর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই। হেলপার হিসেবে চালকের কাছ থেকে বাস চালানো শিখেছেন। ট্রাফিক নিয়মাবলি সম্পর্কে কিছু জানা নেই।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাবেন তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
টিটি/জেডএইচ/জেআইএম