শ্রমিকদের ধর্মঘট / চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ

চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহ প্রকল্পের চলমান কার্যক্রম বন্ধ ও সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণসহ ১০ দফা দাবিতে নৌ শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্দরের বহির্নোঙরে বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য খালাস। নৌযানশ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সারাদেশে এ কর্মবিরতি শুরু করেন শ্রমিকরা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরসহ সারাদেশে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বিভিন্ন বাল্কপণ্যবাহী ২২টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস চলে আসছিল। কর্মবিরতির কারণে রোববার বহির্নোঙর ও কর্ণফুলী নদীর বিভিন্ন ঘাটে লাইটারেজ জাহাজে পণ্য ওঠানামা বন্ধ ছিল।
নৌযানশ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো- দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিংপাস দেওয়া, বাল্কহেডের রাত্রীকালীন চলাচলের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, বাংলাদেশের বন্দরসমূহ থেকে পণ্যপরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা।
এ ব্যাপারে নৌযানশ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নবী আলম জাগো নিউজকে বলেন, নৌযানশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি সরবরাহের কার্যক্রম বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে আমাদের কর্মবিরতি চলছে। সব ধরনের নৌযানশ্রমিকেরা এ ধর্মঘটের আওতাভুক্ত।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে এসব দাবি নিয়ে কথা বলে আসছি। বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ের বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন শ্রমিকদের যে মজুরি রয়েছে তা বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। যে কারণে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।
ইকবাল হোসেন/ইএ