‘গাড়ি ছিনতাই’ করে ব্যবসার পরিকল্পনা নিয়ে সাকিব হত্যা

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পিকআপচালক সাকিবের (২০) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয় গত ৬ নভেম্বর। ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে নামে র্যাব। সবশেষ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার তথ্যে এ হত্যা মামলার আরেক আসামি মো. নাইমুল হোসেন ওরফে সিয়ামকে (২২) গ্রেফতার করে র্যাব। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব বলছে, গ্রেফতার সিয়াম একটি কুরিয়ার সার্ভিস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে তার চাকরি চলে যায়। চাকরি চলে যাওয়ায় চুরি-ছিনতাই শুরু করেন সিয়াম। ছিনতাইয়ের টাকায় তার সংসার চলছিল না। তখন তিনি ও তার বন্ধু (মো. মিজানুর রহমান) মিলে পরিকল্পনা করেন একটি গাড়ি ছিনতাই করবেন। এরপর সেটি বিক্রি করে যে টাকা আসবে তা দিয়ে ব্যবসা করবেন। পরবর্তীতে তারা ঢাকার রায়েরবাজার যান। সেখানে একটি গাড়ি ভাড়া করে ৫০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে চলে আসেন।
র্যাব আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন তারা গাড়িচালক সাকিবকে মোবাইলে কল করে আরশিনগর যেতে বলেন। সাকিব সেখানে গেলে আসামিরা জানান তারা মুন্সীগঞ্জ যাবেন। কিন্তু সাকিব যেতে রাজি না হলে তারা তাকে রুমে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায় সাকিবের হাত-পা বেঁধে কালো টেপ দিয়ে মুখ ও মাথা পেঁচিয়ে ফেলেন আসামিরা। এরপর রাত ১২টার দিকে সাকিবকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
গত ৬ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর পার থেকে হাত-পা বাঁধা ও টেপ পেঁচানো অবস্থায় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে মরদেহটি সাকিবের বলে শনাক্ত করেন তার চাচা।
আরএসএম/জেডএইচ/জেআইএম