গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে রওনা
অডিও শুনুন
মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। থাকেন কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজার। মিরপুরে একটি ওষুধের দোকানে কাজ করেন তিনি। সকাল ৯টার সময় দোকানে উপস্থিত হওয়ার কথা তার। কিন্তু কোনো গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটে কোনোমতে মোহাম্মদপুর আসেন। এছাড়া ঢাকায় প্রবেশে তিনবার পুলিশি ব্যারিকেডে পড়েছেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় আসতে পুলিশ তিনবার বাধা দিয়েছে। ওষুধের দোকানে কাজ করি এতেও বিশ্বাস করেনি। পরে আইডি কার্ড দেখাতে হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পায়ে হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন অনেকে। মোহাম্মদপুর থেকে আঁটিবাজার পর্যন্ত তিনটি চেকপোস্ট চোখে পড়েছে। এসব চেকপোস্টে যানবাহনের ভিড়। প্রতিটা যানবাহনের চালককে জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। ঢাকা প্রবেশের কারণ দেখাতে পারলে ঢুকতে দিচ্ছে, বাকি সব পরিবহন ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কথা হয় দোহার-নবাবগঞ্জের প্রাইভেটকার চালক আল আমিনের সঙ্গে। তিনি চারজন যাত্রী নিয়ে উত্তরা যাবেন। কিন্তু সঠিক কারণ না দেখানোয় তার প্রাইভেটকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আল আমিন বলেন, চারজন যাত্রী নিয়ে উত্তরা যাবো। কিন্তু পুলিশ মনে করছে গোলাপবাগ যাবো। এই জন্য আমার গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এখন আমি নবাবগঞ্জ চলে যাচ্ছি।
সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রীর গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। তিনিও হেঁটে হেঁটে আসছেন। তার গাড়ি বছিলা ব্রিজে আটকে দেওয়া হয় দাবি করে বিল্লাল হোসেন বলেন, খুব কষ্টে আছি ভাই। আর হাঁটতে পারি না। আমাকে বছিলা ব্রিজে জিজ্ঞেস করে কোথায় যাবেন? কেন যাবেন। নানা ধরনের প্রশ্ন। কোনোরকম প্রশ্নের জবাব দিয়ে মোহাম্মদপুর এসেছি। এখন মোহাম্মদপুরে দেখি কোনো গাড়ি নেই।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, ঢাকায় মূলত গণপরিবহন বিশেষ করে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে সিএনজি ও পাঠাওচালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছেন। অনেকে বাড়তি ভাড়া এড়িয়ে পায়ে হেঁটে অফিস যাচ্ছেন।
এমওএস/বিএ/জেআইএম