ত্বকের ক্ষতি করছে কসমেটিকসের বিষাক্ত কেমিক্যাল: ভোক্তা অধিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৯ এএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান

দেশি-বিদেশি কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে, যা মানুষের ত্বকের ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ বিষয়ক কর্মশালায় এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে সাজগোজ লিমিটেড যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এ সময় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশি-বিদেশি সব কসমেটিকস প্যাকেটজাত। কিন্তু সেক্ষেত্রে মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আবার দেখা যায়, বিদেশি কসমেটিকসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না ও আমদানিকারক কর্তৃক সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রদান করা হয় না। ফলে পণ্যটি মানসম্পন্ন কি না, তা বোঝা যায় না। আবার দাম উল্লেখ না থাকায় ভোক্তাকে ঠকিয়ে বেশি দাম নেওয়া হয়।

jagonews24

কর্মশালায় ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে কসমেটিকস পণ্যের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে কসমেটিকস পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য ও সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, উপাদান, পরিমাণ, ব্যবহারবিধি, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ উল্লেখ না থাকা, প্রাইসগান মেশিনের সাহায্যে খুচরা বিক্রেতা কর্তৃক সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ, আমদানিকারকের দেওয়া সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য কেটে অধিক মূল্য লেখা, দেশের অভ্যন্তরে সঠিক মানদণ্ড না মেনে তৈরি করা পণ্য বিদেশি হিসেবে বিক্রি করা ও বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ-অনুমোদনহীন ফেস ক্রিম, হোয়াটেনিং ক্রিমসহ অন্যান্য কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে বলে জানানো হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন ভোক্তাদের সচেতনতা ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা দরকার যে, বেশি দামে পণ্য কিনলেই সেটা গুণগত মানসম্মত নাও হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সব কসমেটিকস প্যাকেটজাত। তাই মোড়কজাতকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদেশি কসমেটিসের ক্ষেত্রে আমদানিকারকের তথ্য থাকে না ও আমদানিকারকরা এমআরপি নির্ধারণ করে দেন না। তাছাড়া কসমেটিকস পণ্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ভোক্তার ত্বকের ক্ষতি করছে।

এনএইচ/এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।