ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। এর আগে ভুক্তভোগী তরুণীর করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মো. রাসেল নামের এক আসামিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কুতুবপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মী মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বুধবার রেলওয়ে থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তোভোগী নিজেই। চারজনই রেলওয়েতে কাজ করা এসএ করপোরেশনের কর্মচারী। এরমধ্যে জামাল, শরীফ ও রাশেদুলকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। একজন আসামি পলাতক ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে রাসেল নামে পলাতক সেই আসামিকেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন। তার যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এ ঘটনায় এসএ করপোরেশনের সঙ্গে সব কার্যক্রম স্থগিত করেছে পাহাড়িকা-উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে রাতে ছেড়ে আসার পর মঙ্গলবার দিনগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল।
রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, খাবার বগিতে অবস্থানের সময় এস এ করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী ওই তরুণীকে প্রথমে উত্ত্যক্ত করে। পরবর্তী সময়ে ওই বগিতে ভোররাতের দিকে তরুণীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী।
এমএমডি/এসআইটি/জিকেএস