ককটেল-গুলিতে রণক্ষেত্র মিরপুর, মাঠে নেই পুলিশ
রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুর চলছে।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টা থেকে এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়েছে।
মিরপুর ১৩, হোপের গলি, অরিজিনাল ১০, কাজীপাড়া, মিরপুর-২ নম্বরের প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে দেখা গেছে। মুহুর্মুহু ককটেল ও গুলির শব্দ শোনা গেছে এসব এলাকায়। তবে কোথাও পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
মিরপুর-১৩ নম্বরে কথা হয় আন্দোলনকারী রাজীবের সঙ্গে। তিনি বলেন, মিরপুর-১ ও শেওড়াপাড়া থেকে ছাত্ররা আসছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা-১০ নম্বর গোলচত্বরে অবস্থান করছে। তারা প্রচুর ককটেল ও গুলি ছুড়ছে।
গুলিবিদ্ধ ও আহত অবস্থায় মিরপুরের আলোক, আজমল ও ইসলামীয়া হাসপাতালে আন্দোলনকারীদের আসতে দেখা গেছে।
হাসপাতালে আহতরা জানান, সংঘর্ষের কারণে অনেককে হাসপাতালেও আনা যাচ্ছে না।
এদিকে অটোরিকশায় একের পর এক আহত আন্দোলনকারীকে মিরপুর-১১ নম্বরের ইসলামীয়া হাসপাতালে আসতে দেখা গেছে। দুপুর ১টা থেকে ২টা ৩০ পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক। যাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ। গুরুতর অবস্থায় কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে অন্য হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। এছাড়া আজমল ও আলোক হাসপাতালে আহত প্রায় ৩০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার সকাল থেকেই মিরপুর-১০ নম্বরের প্রধান সড়কগুলো ছিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে। ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এছাড়া কাজীপাড়া এলাকাতেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে। এসময় নেতাকর্মীদের হাতে বাঁশ, লাঠি ও প্লাস্টিকের পাইপ দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মহানগর ও জেলায় জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ।
এসএম/এমএইচআর/এমএস