পিজিসিবিএলে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে কর্মীদের সমাবেশ
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির (পিজিসিবিএল) দুর্নীতি-অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) পিজিসিবিএলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এতে অংশ নেন।
সমাবেশে পিজিসিবিএলের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘পাওয়ার গ্রিডের সব সঞ্চালন লাইনে কনভেনশনাল কন্ডাক্টর ব্যবহারের পরিবর্তে প্রায় দ্বিগুণ মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাক্টর কম্পোজিট কোর ব্যবহার করার মাধ্যমে গত ৮ বছরে দেশের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট করা হয়েছে। এমনকি কোনো রকম কারিগরি গবেষণা ছাড়াই বোর্ড সভায় বিবিধ আলোচনায় উত্থাপন করে এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসব অর্থ হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট চিহ্নিত দালালরা পাচার করে নিয়ে গেছে। আমরা এই দালালদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এবং তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক (মানবসম্পদ) মোহাম্মদ শফিকুল্লাহর সময়কালে সার্ভিস রুলস চরমভাবে অমান্য করে ছাত্রলীগের কর্মীদের ভুয়া অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের চাটুকার কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং দলীয় কর্মী বিবেচেনায় পদোন্নতি দেওয়া হয়ছে। এসব বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।’
মোহাম্মদ সেলিম আরও বলেন, ‘দেশবিরোধী সব সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় এর আগে অনৈতিক এবং আইনবহির্ভূতভাবে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কোম্পানির চাকরি হতে ছাটাই করা হয়। তাদের পুনর্বহালের দাবি করছি।’
কোম্পানির পরিচালক পর্ষদে মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি (সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব) অংশগ্রহণ রহিত করতে হবে উল্লেখ করে কোম্পানি আইন অনুযায়ী কোম্পানি পরিচালনা করা এবং কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে মন্ত্রণালয়ের ওপর অত্যধিক নির্ভরশীলতা কমানোর দাবি জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এনএস/ইএ/এএসএম