পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যে জড়িত হলে কঠোর ব্যবস্থা
কোনো পুলিশ সদস্য নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত ২৬ জন পুলিশ সুপারের উদ্দেশে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘ঘুস ও চাঁদাবাজি হলো দুর্নীতির মূল উৎস। এটি বন্ধ করতে পারলে সমাজের অনেক অন্যায়-অনিয়ম দূর হবে। ঘুস ও চাঁদাবাজি বন্ধ হলে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে, কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে ও সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ঘুস বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি থেকে বেরিয়ে এসে জনকল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে। পুলিশের আরেকটি বাণিজ্য রয়েছে তা হলো নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য। সেটিও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
- আরও পড়ুন
- বিদায়ী দুই নির্বাচন কমিশনারের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ
- খুলনায় গণপিটুনির শিকার কিশোর মারা যায়নি, যা জানালো আইএসপিআর
‘কোনো পুলিশ অফিসার এসবের সঙ্গে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, অপরাধী সে যেই হোক না কেন সে অপরাধী। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অতীতের অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনমনে যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে, সেটি প্রশমনের দায়িত্বও পুলিশের।’
বিদ্যমান জনবল ও লজিস্টিক দিয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার জন্য পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস