ডিম আমদানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রান্তিক খামারিরা
উৎপাদন খরচ না কমিয়ে ডিম আমদানি করে প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ ও ফিড সিন্ডিকেট বহাল রেখে ডিম আমদানি করায় সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ডিম আমদানি সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত। এতে প্রান্তিক খামারিরা লোকসানে পড়বে, দেশীয় খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে সংকট আরও বড় আকার ধারণ করবে। ডিম ও মুরগির উৎপাদনে ৭৫ ভাগ খরচ ফিডের তাই ফিড সিন্ডিকেট করপোরেট গ্রুপগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ফিডের দাম কমিয়ে উৎপাদন খরচ কমানো সম্ভব। এতে বাজারে ডিম ও মুরগির দাম কমে আসবে।
ভারতে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ টাকা ও এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ৭৬-৮৬ টাকা। এদিকে বাংলাদেশে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০.২৯ টাকা, এক কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ১৫৫-১৭০ টাকা। বাংলাদেশে ডিম মুরগির উৎপাদন খরচ কেন বেশি হচ্ছে এগুলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা না নিয়ে ডিম আমদানি ভুল সিদ্ধান্ত।
আগামী ৭দিনের মধ্যে সরকারকে ডিম আমদানি বন্ধ করতে হবে এবং ফিড সিন্ডিকেটকে ভেঙে দিতে হবে তা না হলে প্রান্তিক খামারিরা বাজারের চাহিদার ৮০ শতাংশ ডিম মুরগির উৎপাদন বন্ধ করে দিবে বলে ঘোষণা দেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন।
এনএইচ/এসআইটি/জিকেএস