৩৭ দিন ধরে হাসপাতালে লতিফ, ধার-দেনা করে চলছে সংসার
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে একাট্টা হয়েছিল পুরোদেশ। সেদিন পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের খবরে সারাদেশে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় লাখ লাখ মানুষ। ৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের ভূঁইয়া হাটে আনন্দ মিছিলে যোগ দেন দোকানি আব্দুল লতিফ (৪৮)। সে সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজনের হামলার শিকার হন লতিফ।
সেদিন কুপিয়ে জখম করা হয় লতিফকে। উপর্যুপরি আঘাতের কারণে তার পেটের অন্ত্র বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে লতিফের স্বজনরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। রক্তাক্ত লতিফকে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ক্ষত দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান। সেই থেকে এখনও চিকিৎসাধীন লতিফ।
আরও পড়ুন:
- আমাদের কলিজার ওপর দিয়ে গাড়ি গেছে, কঠিন বিচার চাই
- ‘মুগ্ধ পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে মুগ্ধ করেছিল’
- প্রতিবাদের গল্পগুলো আঁকা থাক দেওয়ালে দেওয়ালে
লতিফের স্ত্রী বিবি আছিয়া জানান, হাসপাতালে আনার পর রাত সাড়ে ১২টা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অপারেশন হয় লতিফের। তাকে একদিনের জন্য পোস্ট অপারেটিভ রুমে রাখা হয়। এরপর হাসপাতালের ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন তিনি।
আছিয়া আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর আয় দিয়ে সংসার চলতো। চার ছেলে-মেয়ে রয়েছে ঘরে। এখন আমরা কীভাবে বাঁচবো? আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে কোনো রকমে চলছি। বন্যার কারণে লক্ষ্মীপুরের বাড়ি-ঘরও ভেঙে গেছে। কীভাবে কী করবো বুঝতে পারছি না।’
এসএনআর/এমএস