চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে গুলি, অস্ত্রধারী গ্রুপের দুজন গ্রেফতার

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় চাঁদাবাজদের গুলিতে একজন গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপের দুই সদস্যকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- মো. দেলোয়ার হোসেন (৫৭) ও মো. নূর আলম অনি (৩৩)।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গত ১৭ জানুয়ারি বাড্ডা থানাধীন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা জনৈক মো. জুয়েল খন্দকারের কাছে ফোনকল করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একটি অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ গ্রুপ। সে সময় তিনি চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ের একটি মহিলা সমিতির মিটিংয়ে ছিলেন এবং দাবি করা চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানান।
এর কিছু সময় পর ৫/৬টি মোটরসাইকেলযোগে ১১/১২ জন দুষ্কৃতকারী ওই মহিলা সমিতিতে আসে। জুয়েল সমিতির মিটিং থেকে বের হয়ে এলে দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে সুমন নামে একজন পিস্তল বের করে জুয়েলের ডান পায়ে গুলি করে। জুয়েল গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুষ্কৃতকারীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
এসময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে আহত জুয়েল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় ১৯ জানুয়ারি আহত জুয়েল খন্দকারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাড্ডা থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও বলেন, মামলা রুজুর পর বাড্ডা থানা পুলিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত দেলোয়ার ও নূর আলম অনিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতাররা পেশাদার চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাড্ডা এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
টিটি/এমকেআর