দুর্নীতি বন্ধের ওপর নির্ভর করছে প্রণোদনা কর্মসূচির সাফল্য
দুর্নীতি ও অপচয় বন্ধ করার ওপর প্রণোদনা এবং ঋণ কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। সোমবার দলটির সভাপতি শরীফ নুরল আম্বিয়া ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার গণভবনে দেশের বর্তমান দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারেরর পক্ষ থেকে কিছু সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি ৭২ হাজার ৭৫০ কোটির টাকার প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। কয়েকদিন পূর্বে ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজকে তিনি এ ঘোষণার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়াও তিনি আরও ৩০ হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
তারা বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষের জীবন রক্ষা করা। এ অচেনা এবং অদৃশ্য ঘাতককে মোকাবিলা সহজ কাজ নয়। প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আমাদের কর্মের পরিধি এবং ক্ষেত্র সরকার সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পেরেছে কিনা তা বুঝা গেল না।
যতটুকু বোধগম্য হচ্ছে তাতে এ কথা বলা যায় যে এ রোগের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভেন্টিলেটরের অপ্রতুলতা মারাত্মক। এজন্য আমাদেরকে সীমাহীন ক্ষতির মুখোমুখি হতে হবে হয়তো। করোনা মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কী প্রস্তুতি আমাদের আছে তা প্রধানমন্ত্রী কেনো বলতে পারছেন না? প্রণোদনাকে জীবন বাঁচানোর জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখতে হবে, মৃতদেহ সৎকারের জন্য নয়।
জাসদের এই দুই নেতা আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার গতি একেবারেই শ্লথ।প্রধানমন্ত্রী যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়। গরিব এবং প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা জরুরি ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সরকারি নির্দেশ এবং নিয়ম-কানুন মেনে চলার পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমাদের দেশে মালিক পক্ষের কথায় শ্রমিক-কর্মচারীরা আস্থা রাখেন না। কাজেই সাহায্য বা প্রণোদনা বন্টনে ‘দেখি কী হয় নীতি’ মেনে চলা উচিৎ হবে না। অন্তত তিন মাসের লকডাউন এবং চার কোটি মানুষের দায়িত্ব সরকারের নেয়ার প্রস্তুতি থাকতে হবে।
তারা বিবৃতিতে বলেন, সাহায্য সামগ্রী আত্মসাত এবং দুর্নীতির বিষয়টি দেশের সর্বত্র খুবই আলোচিত। তাই সেনাবাহিনীকে এ ব্যাপারে কাজে লাগানো যায়। এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষের জীবন রক্ষা করা। এ দুর্যোগময় সময়ে ধৈর্য এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে নিয়ম-কানুন মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেশবাসীর সার্বিক সুস্থতা এবং মঙ্গল কামনা করছি।
এইউএ/এমএফ