২০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দিল দক্ষিণ যুবলীগ
বাংলা নববর্ষের শুধু শুভেচ্ছা নয়। করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নববর্ষ উপলক্ষে ২০০ নিম্নআয়ের পরিবারে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় মঙ্গলবার রাজধানীর সূত্রাপুর, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় কর্মহীন, দিনমজুর ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে তা বিতরণ করা হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নেতৃত্বে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, আটা, আলু, পিঁয়াজ, সবজি, কাঁচামরিচ ও সাবান রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য খাদ্যসামগ্রী বিতরণ চলমান রাখতে চারটি টিম করে বিভিন্ন এলাকার বাড়ি বাড়ি তা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
টিম ও এলাকাগুলো হলো-
১.বৃহত্তর সূত্রাপুর থানা এলাকায় ফিরোজা আহমেদ, আফজাল শেখ।
২.বৃহত্তর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় শফিকুল ইসলাম জুয়েল, নাদিম, রুবেল।
৩.বৃহত্তর সবুজবাগ থানা এলাকায় মনির হাওলাদার, কাওসার হক।
৪.বৃহত্তর লালবাগ, শ্যামপুর, মতিঝিল, রমনাসহ অন্যসব এলাকায় দিগন্ত, আরিফ, হাফিজ।
এ ছাড়া নিজ এলাকায় গাজী সরোয়ার হোসেন বাবু নিজেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এ জন্য চারটি টিম করা হয়েছে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়। নববর্ষের দিনে ২০০ পরিবারের বাসায় গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে হয়েছে। আমরা শুধু নববর্ষের শুভেচ্ছার মধ্যে সীমবদ্ধ না। প্রথমে আমরা খাদ্যসামগ্রী ও করোনভাইরাস প্রতিরোধক সামগ্রী বিতরণ করছি। এখন এলাকাভিত্তিক টিম করে বাড়ি বাড়ি খাদ্য পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এটা আমাদের দ্বিতীয় ধাপ। যারা মোবাইল কল দেয় তাদের নাম-ঠিকানা লিখে এলাকাভিত্তিক টিমের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রীর পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
যুবলীগের এই নেতা বলেন, এর আগে বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজার পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, পিঁয়াজ, আলু, মুড়ি, লবণসহ খাদ্যসামগ্রী ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ডওয়াস, হ্যান্ডগ্লাবস, সাবান, হ্যান্ডস্যানিটাইজার দেয়া হয়। এ ছাড়া ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে ৩৫০টি পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইভমেন্ট (পিপিই) বিতরণ করা হয়।
এফএইচএস/জেডএ/পিআর