স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব এবং ডিজির স্বপদে থাকার অধিকার নেই : মান্না

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫৫ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০২০

স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) স্বপদে বহাল থাকার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। একই সঙ্গে, করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক সংকট এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এখনই দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশাজীবী, এনজিও প্রতিনিধির সমন্বয়ে ৩-৫ বছর মেয়াদি একটি স্থায়ী ‘জাতীয় পুনর্গঠন কমিটি’ গঠনের প্রস্তাবসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান করে জাতীয় কমিটি গঠন করা হলেও বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে কোনো সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করে মান্না বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের স্বাস্থ্য বিভাগ সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই। তিনি বলতেও পারেন না দেশে কতগুলো আইসিইউ আছে, কতগুলো হাসপাতাল আছে, যেখানে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হওয়া সম্ভব। একের পর চিকিৎসক, নার্স করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি মৃত্যুবরণ করেছেন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে প্রধান করে একটা জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার কোনো বিভাগের সঙ্গে কোনো মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় নেই। তার মানে হচ্ছে, যেখানে সমন্বিত কার্যক্রম প্রয়োজন, সেখানে এই ব্যক্তির নেতৃত্বে সেটা হওয়া সম্ভব নয়। তার ওপর এত বড় সংকটের একটি বিষয় নিয়ে রীতিমতো ব্যবসা করেছে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে কুৎসিত ব্যবসা করার খবর প্রকাশিত হয়েছে, তারপর কোনো অধিকার নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যসচিব এবং ডিজি হেলথের স্বপদে বহাল থাকার।’

অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবি করে এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার উপযোগী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান মান্না।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, এ বিষয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়েছি। চীনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিতে দুই মাসের বেশি সময় থাকলেও সেটা যথাযথভাবে কাজে লাগানো হয়নি।’

ত্রাণ বিতরণ, টিসিবির কার্যক্রম তদারকি, রেশনিং এবং কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীর হাতে দেয়ার দাবি জানান মান্না।

তিনি বলেন, ‘দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ত্রাণ কার্যক্রম দুটোর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনকে যুক্ত করে আলাদা আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।’

স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার খরচ, বেতন ইত্যাদি আগামী ৬ মাসের জন্য মওকুফ করে দেয়ার দাবি জানিয়ে মান্না বলেন, ‘মাদরাসাভিত্তিক লিল্লাহ বোর্ডিং, বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এতিমখানা এবং বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে তিন মাসের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে।

কেএইচ/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।