অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩১ পিএম, ১১ মে ২০২০
ফাইল ছবি

করোনা সংক্রমণকালে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্তদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১১ মে) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রাণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে। দলীয় পরিচয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের স্মরণ করে দিতে চাই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের শুদ্ধি অভিযান এখনো চলমান।

দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ করে তিনি বলেন, গরিব কর্মহীন ও অসহায় মানুষের জীবিকার স্বার্থে সরকার সাধারণ ছুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছে। দুর্ভাগ্যজনক যে প্রথম দিনেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব অনেকেই উপেক্ষা করেছেন। দোকানপাট ও ব্যবসাকেন্দ্রিক অনেক জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে না। এই ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। উপেক্ষা প্রকারান্তরে নিজেদের ও আশপাশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। অর্থাৎ করোনা বিস্তারকে উৎসাহিত করবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সাফল্যের দাবিদার যে দেশটি, দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এজন্য কোরিয়া সরকারকে আবারো লকডাউনের পথে যেতে হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ পরিচালিত করোনা সঙ্কটে ত্রাণ কার্যক্রম নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দাবি করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি দিচ্ছে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিএনপির বিরুদ্ধে করোনা সংকটে মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ তুলে কাদের বলেন, দেশ যখন করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত তখন জনগণের প্রত্যাশা ছিল বিএনপি ত্রাণ নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যখন ঈদ শপিং না করে সেই অর্থ জনগণের মাঝে বিতরণ করছে। তখন বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার বিতরণ করছে, যা জনগণের দুঃখ-দুর্দশার সঙ্গে উপহাসের শামিল।

করোনা বিস্তাররোধে সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রেও সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এ ধারাবাহিকতায় নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অতি সম্প্রতি সরকার দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। দুই হাজার চিকিৎসক করোনা চিকিৎসাবিষয়ক হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে। সম্মুখ সারিতে তারুণ্যের শক্তি যোগ হওয়ার লড়াইয়ে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

এইউএ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।