করোনার সাথে ডেঙ্গুতে দেশ যেন মৃত্যুপুরী না হয় : ন্যাপ
মহামারি করোনার সাথে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াতে যেন জনগনকে মরতে না হয়। করোনার সাথে ডেঙ্গুতে মরে দেশ যেন মৃত্যুপুরী না হয়। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াকেও প্রতিরোধ করতে দ্রুততম সময়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে জনজীবনকে রক্ষা করা কঠিন হতে পারে, সৃষ্টি হতে পারে নানা জটিলতা। ফলে করোনার পরে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটলে ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ অবস্থার সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে আগাম কার্যকর উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মশা নিধনের ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতীতে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির দুঃসাহস কেউ দেখাতে না পারে।
তারা বলেন, যেই মুহুর্তে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন এডিস মশারও ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে করোনায় না মরলেও ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু নিশ্চিত। গত বছরও দেশে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল। ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়ার আক্রান্ত হয়ে সহস্রাধিক মানুষকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, মারাত্মক রোগবাহী মশা নিধনের বিগত সময়ে সরকার, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, ডিসিসি চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। করোনা মোকাবিলাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতার কারণে তাদের উপর জনগণের আস্থা একেবারেই শূন্যের কোঠায়। ডিসিসিও সেই সময় কথামালা উপস্থাপন করলেও প্রকৃত অর্থে তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বরং তৎকালীন মেয়দের বিভিন্ন বক্তব্যে তাদের অযোগ্যতাই প্রমাণিত হয়েছিল, প্রমাণি হয়েছিল তারা জনগণের জীবন নিয়ে খেলা করতে পচ্ছন্দ করেন।
তারা বলেন, এ বছর ডেঙ্গুর ভয়াবহতা গত বছরের তুলনায় আরও বেশি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছে। ফলে সরকার ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিমূলে ব্যর্থ হলে করোনার সাথে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া মিলে দেশ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে। সুতরাং ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া বৃদ্ধির আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সারা দেশের নগর জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মশা নিধনের জন্য অবিলম্বে জরুরি ও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
কেএইচ/এনএফ/জেআইএম