ছুটি প্রত্যাহার করে লাখো মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেয়া হলো
সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তক বার্তার প্রতি সরকারের ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দুপুরে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কী প্রমাণ করতে চায়- করোনার থেকে তারা শক্তিশালী? এই ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেয়া হলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে বিপদে ফেলে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তকতা বার্তার প্রতিও সরকারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই ছুটি প্রত্যাহারের জন্য করোনাভাইরাসে প্রাণহানির সব দায় সরকারকেই নিতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখনই উপযুক্ত সময় ছিল কিছুদিনের জন্য হার্ড-লকডাউন কার্যকর করে ব্যাপক জনগণকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধিক সংখ্যক টেস্ট এবং কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার পর লকডাউন শিথিল করেছে। আর বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ভীতিকর মাত্রায় প্রতিটি মানুষ যখন আতঙ্কিত-উৎকণ্ঠিত তখন ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন প্রত্যাহার করা হলো।’
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ‘অপরিকল্পিত, দায়সারা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়নের প্রসঙ্গ টেনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গত এক দশকে প্রতিটি ঘটনা বিরোধী দল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে র্যাব-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। এবারও মনে হয় তারা (র্যাব-পুলিশ) একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।’
কেএইচ/এমএফ/জেআইএম