অফিস খোলার সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা বাম গণতান্ত্রিক জোটের
বিশেষজ্ঞদের মত উপেক্ষা করে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সকল অফিস, আদালত, দোকানপাট খুলে দেয়া এবং সড়ক, নৌ ও রেলসহ গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়ায় সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
শুক্রবার (২৯ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে জোটের নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- যেখানে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুনের ১৫ তারিখের পর দেশে করোনা সংক্রমণ চূড়ান্ত উচ্চে পৌঁছানো এবং তারপর থেকে সংক্রমণ কমার সম্ভাবনা রয়েছে তখন ৩১ মে থেকে সব খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় বহন করে।
বিবৃতিতে জোটের নেতারা বলেন, দেশে যখন সংক্রমণ ও মৃত্যু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তখন সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত জনগণের বাঁচা মরাকে ভাগ্যের ওপর ঠেলে দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা ও দায়িত্ব এড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র।
তারা বলেন, যেখানে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভঙ্গুর, সরকারের অস্থিরতা ও সমন্বয়হীনতা প্রকট সেখানে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ লাইনে চলার সরকারের সিদ্ধান্ত ‘দগরিবের ঘোড়া রোগের’ শামিল। কারণ যে সব দেশ হার্ড ইমিউনিটির কথা বলছে, তারা গণহারে ব্যাপক জনগণকে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা করে আক্রান্তদের আইসোলেশনে নিচ্ছে, চিকিৎসা দিচ্ছে। আমাদের তো শুরু থেকেই পরীক্ষা সীমিত আকারে করা হচ্ছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য গোপন করা, হাসপাতালসমূহের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে দুর্নীতি বর্তমান সরকারের ব্যর্থতাকে উন্মোচিত করেছে। এখন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার তার দায়িত্বহীনতার চরম প্রকাশ ঘটাল।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সরকারের এহেন সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করে বিশেষজ্ঞ মতামতকে গ্রাহ্য করে অন্তত সংক্রমণ পিকে পৌঁছানো পর্যন্ত অফিস, আদালত, দোকানপাট, গণপরিবহন বন্ধ রাখার দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ এবং কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি মুজাদিুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক যৌথ বিবৃতি দেন।
এফএইচএস/এফআর/পিআর