‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের’ মুক্তির প্রত্যাশায় ফখরুল
‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের’ মুক্তির প্রত্যাশা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৩০ মে) বিকালে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এ অঙ্গীকারের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মহামারির পরে পরিবর্তন আসে, যুগের পরিবর্তন হয়, সভ্যতার পরিবর্তন হয়ে যায়। আসুন আমরা আজকে সবাই মিলে এ পরিবর্তনকে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের মুক্তি হোক এবং মানুষের মুক্তি হোক। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাক এবং পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশ মুক্তি পাক-এই হলো আজকে আমাদের অঙ্গীকার।’
করোনা সংক্রামণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল আলোচনার নতুন অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ অনুষ্ঠান যা একেবারেই আমাদের জন্য নতুন।বিশেষ করে রাজনীতিবিদদের কাছে এটা একেবারেই নতুন। অনেকে আমাকে বলেছেন, সামনে শ্রোতা থাকবে, দর্শক থাকবে না- আমরা কার সামনে বক্তব্য রাখবো।’
তিনি বলেন, ‘আপনি আজকে তিন লাখের ওপরে মানুষের সামনে, চার লাখের ওপরে মানুষের সামনে বক্তব্য রেখেছেন। সুতরাং পরিবর্তনটাকে ধরতে হবে।’
জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই জাতিকে একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লাখ লাখ ক্রন্দনরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এ কথা প্রার্থনা করেছিলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লাখ লাখ মানুষ ডুকরে কেঁদে উঠেছিল। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিল। সে কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজো এতো প্রিয়।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল এ আলোচনা।বিকাল সাড়ে ৩টায় ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫টায়।
নেতারা জানান, গুলশানে ফিরোজায় দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল আলোচনায় যোগ দেন।
মির্জা ফখরুলের পরিচালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রমুখ।
কেএইচ/এএইচ/এমকেএইচ