এই সরকার ডাক্তার-পুলিশদের না, যাদের টাকা আছে তাদের : মান্না
এই সরকার পুরোপুরি ব্যবসায়ীদের বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, এই সরকার আমাদের সরকার নয়, ওরা আমাদের কাজ করবেও না। এরা পুরো ব্যবসায়ীদের সরকার। এখন এই শাসকদের কাছে নিরাপদ নই, এখন যারা ক্ষমতা চালাচ্ছে তাদের কাছে আমরা নিরাপদ নই।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মান্না বলেন, পুলিশ যারা এদেরকে ক্ষমতায় থাকার জন্য দুই বছর আগে জান দিয়ে দিয়েছে, মানুষের ভোট কেড়ে নিয়েছে, পারলে অন্যের জান কেড়ে নেয়। ওই পুলিশের জান সরকার রক্ষা করতে পারেনি। যে ডাক্তার চিকিৎসা করছেন, এত বিপদের মধ্যেও ওদেরকে পিপিই দিতে পারে না। অথচ এই পিপিই এক্সপোর্ট করে বেক্সিমকো যাতে লাভ করতে পারে তার জন্য কিন্তু গার্মেন্টস খুলে দেয়ার বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সরকার ডাক্তারদের জন্য না, পুলিশদের জন্য না, যাদের টাকা আছে তাদের জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বলছেন ১৫ দিন দেখব, তারপর কঠোর হবে। আপনারা কী হয় দেখবেন। প্রতিদিনই তো সংক্রমণ বাড়ছে, আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এটাকেই বলে হার্ড ইমিউউনিটি। চরে খাও, বাঁচলে বাঁচো, মরলে মরো- এই হচ্ছে সরকারের পলিসি।
তিনি আরও বলেন, ওরা (সরকার) মানুষকে খাবার দিতে পারবে না, টাকা দিতে পারবে না। দুই কোটি পরিবার দিন আনে দিন খায়। এ জন্য তারা (সরকার) সব কিছু খুলে দিয়েছে। এই সরকার মানুষকে মিথ্যাচার করে, প্রবঞ্চনা করে ভাতা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাহানা বার করছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের সরকারি অনুমোদন না দেয়া এবং সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবস্থা তুলে ধরে তার কিছু হলে সরকারকে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মান্না।
সংগঠনের সমন্বয়কারী শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় ইন্টারেনেটের মাধ্যমে জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, গণফোরামের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিও বক্তব্য রাখেন।
২০১২ সালে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হয়।
কেএইচ/বিএ