৬ মাস এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার দাবি ন্যাপের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ১৪ জুন ২০২০

করোনা মহামারির চলমান সংকটের সময় মানবিক কারণেই এনজিওসহ সব ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় অবিলম্বে বন্ধ করতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ।

রোববার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবি জানান।

তারা বলেন, চলমান করোনা মহামারিতে গভীর সংকটে পড়েছে শ্রমজীবী, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ। রুটি-রুজির সীমাহীন সংকটে পড়ে খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাতে হচ্ছে তাদের। এসব মানুষ ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে পড়ে আছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে অনেক এনজিও দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বর্তমান অসহায় পরিস্থিতিতে এটা শুধু অমানবিকই নয়, অন্যায্যও বটে। এনজিওদের এসব কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত হচ্ছে, মরলেও তাদের শোষণ থেকে মানুষের মুক্তি নেই। এ অবস্থা চলতে পারে না।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি আদায় বন্ধ না রাখলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে সরকার ‘কাগুজে হুংকার’ দিয়েই তার দায়িত্ব শেষ করেছে। কিস্তি আদায় বন্ধ করতে সরকারের কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেই। করোনা আর ক্ষুধার যন্ত্রণায় মানুষ এমনিতেই চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে কিস্তির যন্ত্রণা মেনে নেয়া যায় না। কিস্তির যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত নয়, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ক্ষুদ্রঋণের সব ধরনের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে হবে। কিস্তি আদায় বন্ধে সরকারকে কার্যকর কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ন্যাপের এই দুই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, এনজিও থেকে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে ভ্যানগাড়ি কিনেছেন কিংবা ঋণের টাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন, এ ধরনের নানা পেশার নিম্ন আয়ের লোকজনের রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণদানকারী সংস্থাগুলো তাদের এই দুর্দশা আমলে না নিয়ে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। এনিয়ে দেশের কোনো কোনো স্থানে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায় আগামী ৬ মাস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে সরকারের নিকট জোর দাবি জানিয়েছে ন্যাপ নেতারা।

নেতৃদ্বয় ক্ষুদ্রঋণদানকারী সব সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা কিছু সময়ের জন্য ঋণের কিস্তি আদায় স্থগিত রাখুন। সরকারেরও উচিত হবে কেন্দ্রীয়ভাবে এ রকম একটি নির্দেশনা জারি করা।

কেএইচ/এমএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।