আমাদের আর অবহেলার সময় নেই : ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ পিএম, ১৭ জুন ২০২০
ফাইল ছবি

চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের আর অবহেলার সময় নেই।

বুধবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি করোনা সংক্রমণ ও বিস্তার এখন উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেছে। প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ এশিয়া ও আমেরিকায় নতুন করে উচ্চমাত্রায় সংক্রমণে উদ্বেগ প্রকাশ ও সতর্ক করেছে। চীনে নতুন করে গুচ্ছ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই বাস্তবতায় নিজের বিবেক নিজের পাহারাদার না হলে এই উদাসীনতা থেকে কে আমাদের মুক্ত করবে?

তিনি আরও বলেন, সরকার সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একদিকে জীবন অন্যদিকে কর্ম। একদিকে জননিরাপত্তা অপরদিকে অর্থনীতির ভারসাম্য। একদিকে বেঁচে থাকার জন্য পরিকল্পনা, অপরদিকে দেশ-বিদেশের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা। জীবনের অনিবার্য প্রয়োজনগুলো মাথাচাড়া দেয় বলেই মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালকের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা ও চিকিৎসা নেটওয়ার্ক সচল এবং সম্প্রসারণে সরকারের নিরলস প্রয়াস দৃশ্যমান। শুধু প্রয়োজন সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা। আমরা এই দুর্দিনে সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। কিন্তু কিছু কিছু মহল অবহেলা ও অসহযোগিতা করছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নতুন করে সংক্রমিত এলাকা ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোন করতে যাচ্ছে। সঠিক সমন্বয়ের ওপর নির্ভর করবে কার্যকর ফল। স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিটি করপোরেশন, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতর ও কর্তৃপক্ষের মাঝে সুসমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। আমাদের আর অবহেলার সময় নেই। সরকারের নতুন নিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংক্রমণ রোধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যন্ত গড়ে তুলতে হবে সমন্বয় ও সুরক্ষার দুর্ভেদ্য প্রাচীর।

এইউএ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।