করোনায় ৫৬ লাখ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি : টুকু
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়া ৫৬ লাখ পরিবারের প্রায় সোয়া দুই কোটি মানুষকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় করোনা পর্যবেক্ষণ সেলের আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
তিনি বলেন, আমাদের দলের কেউ কেউ জমি বিক্রি করে, স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে এই দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
রোববার (২১ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, আমরা বিরোধী দল হিসেবে চেয়েছি এই সংকট মোকাবিলায় সরকারকে সহযোগিতা করতে। আমরা প্রথম সরকারের কাছে একটি অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়েছি। সেই প্যাকেজ দেয়ার পরে সরকার আমাদের কোনো সাড়া দেয়নি, কোনো আলোচনাও করেনি এবং দেখলাম আমাদের প্যাকেজ দেয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী আরেকটা প্যাকেজ দিলেন। এটা খুব বেশি কম না। কিন্তু আমরা সুস্পষ্টভাবে দিয়েছিলাম কীভাবে কোথায় কী করতে হবে। কিন্তু তারা সেগুলো না করে এমন করে দিল যে পরে দেখা গেল এটা কোনো প্যাকেজ না, এটা হচ্ছে ব্যাংকের ঋণ।
তিনি বলেন, সরকার তো সব সময় জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। যেমন ভোটে প্রতারণা করেছে তেমনি সব ক্ষেত্রে জনগণের সাথে প্রতারণা করে তারা দেশ শাসন করছেন শুধু শক্তি দিয়ে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম সরকার এটাকে সেভাবে হ্যান্ডেলিং করবে না। প্রথম থেকেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদেরকে বলেছিলেন যে এই নিয়ে একটা সেল করতে হবে। এই সেলের মাধ্যমে আমাদের ত্রাণ দিতে হবে কিছু।
টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ ত্রাণ দিতে গেছে সেখান থেকে চুরি করেছে। ত্রাণ চুরি আওয়ামী লীগের নতুন না এটা বহু দিনের ইতিহাস।
তিনি আরও বলেন, কারণ ও প্রতিরোধের জন্য যদি জানুয়ারি থেকে প্রস্তুতি নিতো তাহলে আজকে আমাদের এই দিনটা দেখতে হতো না। আজকে মৃত্যুর মিছিল লম্বা হচ্ছে। বাতাসে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সরকার কারোনা নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছে তার থেকে প্রায় ২০ থেকে ৪০ ভাগ বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। অনেকেই উপলক্ষ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে টেস্ট করতে পারছে না এবং টেস্ট করতে এসে অনেকে মারা যাচ্ছে। সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সবমিলিয়ে আমরা এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছি। এটা যে কতটা ভয়ঙ্কর সেটা কেউ জানি না।
টুকু বলেন, এখন মানুষের মধ্যে এমন ভীতি এসে গেছে জ্বর হলেও বলে না, ভয় পায়। বললে যদি একঘরে হয়ে যায়, তারপর তাকে ফেলে চলে যায় এ কারণে সে বলে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় আলোচনায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এমএসএইচ