করোনা পরীক্ষা রাষ্ট্রীয় খরচেই করতে হবে : বাসদ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ২৬ জুন ২০২০

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সরকারি হাসপাতালে ফি নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।

শুক্রবার (২৬ জুন) সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারি ফলে এর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সরকারি উদ্যোগে রাষ্ট্রীয় খরচেই করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশে সরকার শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে নানা টালবাহনা করে প্রথমে একটি ল্যাবে পরীক্ষা করে। এখন ৬০/৬২ ল্যাবে পরীক্ষা হলেও কম নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হচ্ছে। যেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ হাজার নমুনা পরীক্ষা দরকার এবং প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ল্যাব স্থাপন করা প্রয়োজন। তা না করে সরকার এখন করোনা পরীক্ষার জন্য ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, করোনার কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে। খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড় করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে সেখানে নতুন করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এর শামিল। তাছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ৩৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদি এক পরিবারে ৪/৫ জনের করোনা পরীক্ষা করতে হয় তাহলে ২০/২৫ হাজার টাকা লাগবে এ ব্যয় নির্বাহ করা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত গরিব সাধারণ মানুষের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকার চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য খাতকেও ব্যবসায়ীদের মুনাফার দৃষ্টিতে দেখে আসছে। তারই প্রতিফলন হিসেবে করোনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের পাঁয়তারা। তিনি ফি নির্ধারণের অপচেষ্টা বন্ধ করা এবং সকল বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করে বিনা মূল্যে সকল নাগরিকের করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার দাবি জানান।

একই সঙ্গে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও দুর্নীতিমুক্ত ভাবে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান। অন্যথায় গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলে তা প্রতিহত করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এফএইচএস/এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।