খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্বে কে এই প্যাট্রিক কেনেডি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫
অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি, সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে লন্ডন নেওয়া হয়েছে গত ৮ জানুয়ারি। সেদিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’।

সংশ্লিষ্টরা সেদিনই জানান, বেসরকারি ওই হাসপাতালে অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডির অধীনে চিকিৎসা চলবে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর।

প্রায় ২ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর আজ (শুক্রবার) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎক ডা. জাহিদ হোসেন আজ জানিয়েছেন, ছেলে তারেক রহমানের বাসায় গেলেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলমান থাকবে প্রফেসর প্যাট্রিক কেনেডির অধীনেই।

আরও পড়ুন: লন্ডন ক্লিনিকে খালেদা জিয়া 

প্রশ্ন হলো কে এই প্যাট্রিক কেনেডি? যার উপরে আস্থা রাখছেন বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে জটিল সব রোগে ভুগছেন।

যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকের ওয়েবসাইট এবং প্যাট্রিক কেনেডির নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডা. কেনেডি একজন শীর্ষস্থানীয় লিভার বিশেষজ্ঞ যিনি ১৯৯৬ সাল থেকে চিকিৎসা পেশায় রয়েছেন। স্নাতকোত্তর শেষে তিনি ২০০৯ সালে লন্ডন স্কুল অব মেডিসিন অ্যান্ড ডেন্টিস্ট্রিতে কাজ শুরু করেন।

বিশ্বখ্যাত এই লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞ কাজ করছেন ক্রনিক হেপাটাইটিস বি এবং ভাইরাল লিভার ডিজিজ নিয়ে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই শাখায় এরই মধ্যে তার দুই শতাধিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: লন্ডনের যে দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়

তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন উপদেষ্টা। লিভার নিয়ে কাজ করেন ইউরোপের বড় বড় ফুটবল ক্লাবগুলোর সঙ্গে। বিশেষজ্ঞ এই চিকিৎসক লিভার চিকিৎসা সংক্রান্ত ইউরোপের প্রায় সবগুলো বিখ্যাত সংস্থা এবং সংগঠনের সদস্য।

লন্ডন ক্লিনিকে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ইউনিটের এই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে প্রথমবার দিতে হয় ৩৫০ পাউন্ড (প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার টাকা)। ফলোআপের জন্য দিতে হয় ২৫০ পাউন্ড করে (প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা)।

এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।