হাইকমিশনের আন্তরিকতায় মালয়েশিয়া থেকে ফিরলেন প্রবাসী

মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের আন্তরিকতায় দেশে ফিরেছেন মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে আটকে পড়া জিয়াউর রহমান (৪৮) নামের এক প্রবাসী। বুধবার (২৯ জুন) রাতে দেশে ফিরেছেন তিনি।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের জিয়াউর রহমান মালয়েশিয়ার জোহর বারু শহরের একটি কারখানায় কাজ করতেন। তিন মাস আগে কোম্পানি থেকে ছুটি নিয়ে দেশে এসেছিলেন তিনি।
দেশে ছুটি কাটিয়ে গত ২৪ জুন এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে মালয়েশিয়া ফিরছিলেন জিয়াউর। যথা সময়ে বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার আগে তার হাতে থাকা ব্যাগ খুঁজে দেখেন পাসপোর্ট নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পাসপোর্ট আর পাননি তিনি।
এদিকে ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ছাড়া প্রবেশের অনুমতি না থাকায় কর্তব্যরত ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা জিয়াউরকে অফিসকক্ষে আটকে রাখেন।
২৫ জুন সকালে জিয়াউর মালয়েশিয়া বিমান বন্দর থেকে জহুর বারু কমিউনিটি নেতা মোস্তাফা আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা জানান। মোস্তাফা আহমেদ ওই দিনই মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর কনস্যুলার জি এম রাসেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও মালয়েশিয়া বিমান বন্দরে আটকে পড়া জিয়াউর রহমানের কথা জানান।
কাউন্সিলর জি এম রাসেল রানা সঙ্গে সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে সব তথ্য নিয়ে রাসেল রানা ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীরকে বিষয়টি জানান।
সমস্যা সমাধানে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে শ্রম উইংয়ের কল্যাণ সহকারি মো. জাহাঙ্গীর আলমকে জিয়াউর যে কোম্পানিতে কাজ করতেন সেটির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীর আলম জিয়াউরের কোম্পানি মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
শেষ পর্যন্ত জিয়াউরকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। তার কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি পত্র হাইকমিশনে পাঠানো হয়। শ্রম উইংয়ের দ্বিতীয় সচিব সুমন চন্দ্র দাস স্বাক্ষরিত একটি ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে বুধবার সকালে জিয়াউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেদিন রাতেই এয়ার এশিয়ার একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হাইকমিশনের আন্তরিক সহায়তার প্রসংশা করে মালয়েশিয়ান বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরাও হাইকমিশনের এমন সহার্দপূর্ণ আচরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এসএএইচ/জেআইএম