করোনাভাইরাস : কাতারে প্রবেশ সাময়িক বন্ধ বাংলাদেশিদের
কাতারে ক্রমেই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাই এভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ছুটিতে থাকা ও নতুনভাবে কাতারে আসা আপাতত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৯ মার্চ) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। কাতারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য পেনিনসুলা কাতারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কাতার সরকারি যোগাযোগ অফিস এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ, ইতালি, চীন, মিশর, ভারত, ইরান, ইরাক, লেবানন, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া এবং থাইল্যান্ড লোক আপাতত কাতারে আসতে পারবে না। যাদের কাতারে থাকার ইকামা আছে, বা যারা পর্যটন ভিসা নিয়েছেন, কিংবা যারা অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পেতেন, সবার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে করোনার সংক্রমণে আতঙ্কিত না হয়ে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে আহ্বান জানানো হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
কাতারের স্থানীয় সময় রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য পেনিনসুলা কাতারের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশটিতে বাড়ছে আতঙ্কও। কাতারে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আতঙ্ক লক্ষ্য করা গেছে। তবে প্রবাসীদের আতঙ্কিত না হয়ে কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকার আহ্বান জানান প্রবাসী ব্যবসায়ী ও কমিউনিটির নেতারা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইরান ফেরত এক কাতারি নাগরিকের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর থেকে দেশটিতে উত্তেজনা বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন কাতারের নাগরিক। বাকি ১২ জন কোন দেশের সেটি এখনও জানায়নি দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬শ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিশ্বব্যাপী ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে সাড়ে তিনশ মানুষেরও বেশি। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।
এমএসএইচ