স্লোভেনিয়ায় ঘোরাঘুরি করলেই ৪০০ ইউরো জরিমানা

রাকিব হাসান রাফি
রাকিব হাসান রাফি রাকিব হাসান রাফি , স্লোভেনিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২১ মার্চ ২০২০

স্লোভেনিয়ায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। আজ সকাল নয়টায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৪৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের অস্তিত্ব মিলেছে। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৩১৯ জনে।

এখন পর্যন্ত স্লোভেনিয়ায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পাশাপাশি শনিবার সকালে স্লোভেনিয়ার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমে সকলকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কাউকে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

স্লোভেনিয়া পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উন্মুক্ত জায়গায় ঘোরাফেরা করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখে যদি একাধিক লোকের জনসমাগম হয় তাহলে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৪০০ ইউরো করে জরিমানা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও ১৬ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সব ধরনের শিক্ষাপ্ৰতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট ও বার বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া বন্ধ রয়েছে বাস, ট্রেন ও ট্যাক্সি সার্ভিস। কেবলমাত্র ব্যাংক, পোস্ট অফিস, পেট্রোল স্টেশন, হাসপাতাল, ফার্মেসি, সুপার মার্কেট, খাবারের দোকান। নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

এ ছাড়াও লুবলিয়ানাতে অবস্থিত ইয়োজে পুচনিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকেও কোনো ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ইতালির মতো হাঙ্গেরি এবং ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গেও স্লোভেনিয়ার সীমান্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

বিশ্বের ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯১ হাজার ৯১২ জন।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই চীনের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

তবে গত কয়েকদিনে এই চিত্র বদলে দিয়েছে ইতালি। গত কয়েক মাসে চীন যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে ঠিক একই রকম পরিস্থিতি এখন ইতালিতে। বরং চীনে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যায় চীনসহ অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২১। সেখানে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৮৬। দেশটিতে গত একদিনেই মারা গেছে আরও ৬২৭ জন। এ পর্যন্ত একদিনে করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড এটা।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]