আমিরাতে ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও জরিমানা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৯:১৬ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বে চলছে নানা সংকট। আমিরাতেও এ ভাইরাস হানা দিয়েছে। এতে দেশটির কোথাও কোথাও কড়াকড়ি জারি করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। ঘরবন্দি রয়েছে প্রবাসীরা। এমতাবস্থায় দেশটির ভিসাধারীদের চলতি বছরের মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও কোনো জরিমানা না করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) দেশটির উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মাহমুদ বিন রশিদ আল মাকতুম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এমন ঘোষণা দেন। এতে চলতি বছরের মধ্যে রেসিডেন্স ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও জরিমানা হবে না।

এ সময় অনলাইন বৈঠকে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রীরা অংশ নেন। বৈঠকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের সব সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়।

এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের নানা প্রান্তে আটকে যাওয়া আরব আমিরাতের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিনামূল্যে ফ্লাইট ঘোষণা করে দেশটির সরকার।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এয়ারলাইন্স গ্রুপের সভাপতি ও প্রধান নির্বাহী শেখ আহমেদ বিনামূল্যে ফ্লাইট সম্পর্কে টুইটারে লিখেছেন, কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়া রোধে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছিল। ফলে বিভিন্ন দেশে থাকা আমিরাতের নাগরিকরা দেশে ফিরতে পারেনি। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে বিনামূল্যে বিশেষ বিমান ফ্লাইট ঘোষণা করা হয়েছে।

আমিরাতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫০৫ জনে। এ ছাড়া মারা গেছেন এজজন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ জন।

শনিবার (০৪ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। মৃত্যুবরণ করেছেন আগের নয়জনসহ মোট ১০ জন। নতুন ১৭ জনসহ ১২৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

মধ্যপ্রাচ্য তথা এশিয়ায় মহামারি করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইরানে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত আরও ১৫৮ জনের মৃত্যুর পর সংখ্যাটা এখন ৩ হাজার ৪৫২।

মহামারি করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর অর্ধেকেরও বেশি ইউরোপে। যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো মানুষ করোনায় মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও করোনার কেন্দ্র এখন ইউরোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এরপরের কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র।

আক্রান্তদের মধ্যে ৪ হাজার ১০৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তার বেশিরভাগই ইরানে। তবে দেশটির বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগও রয়েছে।

শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশগুলোর একটি ইরান। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্পিকার, ভাইস প্রেসিডেন্ট, ধর্মীয় নেতা ও আইনপ্রণেতা ছাড়াও অনেক হাই প্রোফাইল নেতা প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]