সিঙ্গাপুরে ৩২ হাজার অভিবাসী অস্থায়ী আবাসনে স্থানান্তর
ডরমেটরিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে প্রায় ৩২ হাজার অভিবাসী অস্থায়ী আবাসনগুলিতে সরানো হয়েছে। আবাসনগুলো হলো- স্পোর্টস হল, শূন্য হাউজিং, এইচডিবি ব্লক, সেনা শিবির, ভাসমান হোটেল এবং বেসরকারি অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটি স্থানে অনসাইট আইসোলেশন ব্যবস্থা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী জাকী মোহাম্মদ বিদেশিকর্মীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শ্রমিকদের বিচ্ছিন্নকরণের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, ‘যে সকল বাসিন্দাদের চিকিৎসা সেবার প্রয়োজন তাদের জন্য আবাসস্থলে মেডিকেল পোস্ট, জনস্বাস্থ্য প্রস্তুতি ক্লিনিক বা আশপাশের হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।
যাদের আরও চিকিৎসা প্রয়োজন নেই তাদের করোনাভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আবাসস্থলে আইসোলেশন এলাকায় রাখা যেতে পারে এবং করোনাভাইরাসের জন্য পরীক্ষিত পরীক্ষাগুলি ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদেরকে আইসোলেশন কেন্দ্রে রাখা হবে। এছাড়া যাদের সোয়াব টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসে তাদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য স্থানান্তর করা হবে’৷
তিনি বলেন ‘মাঝারি মেয়াদে বিদ্যমান ডরমেটরির ঘনত্ব হ্রাস করার জন্য সরকার আরও অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। নতুন ডরমেটরিগুলোতে অসুস্থ বা সংক্রমিত কর্মীদের দ্রুত আইসোলেশন করার জন্য পর্যাপ্ত সিক ব্যাড আইসোলেশন কক্ষ থাকবে’।
জানা গেছে, সিঙ্গাপুরে অভিবাসীকর্মীদের ডরমেটরিগুলো সবচেয়ে বড় ক্লাস্টারে পরিণত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারেরও বেশি শ্রমিক করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়েছেন যারা ডরমেটরিতে বাস করেন। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই সুস্থ হয়ে উঠেছে, বাকিরা সুস্থ হবার পথে৷
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে একজন অভিবাসীকর্মীকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে৷ আক্রান্ত শ্রমিকদের যেখানেই থাকুক না কেন, ডরমেটরিতে বসবাসকারী সকল অভিবাসী শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবার সুযোগ রয়েছে।
এমআরএম/এমকেএইচ