কুয়েত-দোহা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালু

সাদেক রিপন
সাদেক রিপন সাদেক রিপন , কুয়েত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:০২ এএম, ১৭ জুন ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের অনেক দেশই আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ রাখে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতেও প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছে দেশটি।

গত ১৫ জুন থেকে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে কুয়েত থেকে বাংলাদেশে ফিরছেন অনেক কুয়েত প্রবাসী। কুয়েত-দোহা-ঢাকা রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চলাচল করছে।

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে থাকা-খাওয়া খরচ জোগাড় করতেই কষ্ট হচ্ছে প্রবাসীদের। রুমে বসে নিজের খারাপ পরিস্থিতি ও পরিবারিক চিন্তায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন অনেকে। বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিস, হার্টে সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগ। আর এদিকে চাকরি না থাকার কারণে অর্থ কষ্টে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তারা। এ অবস্থায় তাদের ভালো চিকিৎসা ও পরিবারের সেবা প্রয়োজন। এ কারণে অনেক প্রবাসী দেশে চলে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরে আসবেন।

কুয়েতে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী বাংলাদেশি সেলিম হাওলাদার জানান, করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসা বন্ধ। স্টাফ খরচ, দোকান ভাড়া, বাসা ভাড়া, খাওয়া খরচসহ সবকিছু নিজের থেকে বহন করতে হচ্ছে। সবকিছু মিলে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, লকডাউনে কর্ম নাই, বেকার সময় রুমে বসে থাকতে থাকতে চিন্তায় মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। অনেকেই ফোন করে আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে জানতে চায়, এদের মধ্যে অনেকে নানা ধরনের সমস্যায় আছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশে চলে যাওয়া জরুরি বলে জানান অনেকে। আমরা এই ধরনের প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে কুয়েত থেকে বিশেষ ফ্লাইটের জন্য আবেদন করেছিলাম। সেটার কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে, এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।

দেখলাম ১৫ জুন কুয়েত থেকে কাতার এয়ারওয়েজের বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করেছে। দেশেও আমার কিছু জরুরি কাজ আছে এবং ফ্লাইট সম্পর্কে ধারণার জন্য টিকিট কিনে ১৬ জুন দেশে পোঁছালাম। কুয়েতে ও ঢাকা এয়ারপোর্টে দুইটা ফরম পুরণ করতে হয়েছে। স্ক্যানার মেশিনের মাধ্যমে শরীরে তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে বিমান ভাড়া অতিরিক্ত এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের সিঙ্গেল টিকিট ৯০/৯৫ দিনার, রিটার্ন টিকিট ১৬৫/১৭০ দিনার। ফেরার সময়টা আগস্টের পরে বলা হচ্ছে। তবে আমার ধারণা বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি উন্নতি ও অবনতির ওপর নির্ভর করে আরও পেছাতে বা আগাতে পারে এ সময়। যাদের খুব বেশি সমস্যা নাই তাদের এই মূহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন আসার জন্য অনুরোধ করছি।

এমএফ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]