কুলি-গৃহকর্মী দম্পতির শখ পূরণ করলো বিদ্যানন্দ

কাজের বুয়া হিসেবে যে বাড়িতে কাজ করেন তাদের মেয়ের ওয়েডিং ফটো দেখে খুব আফসোস হয়েছিল। তার বিয়ের কোনো চিহ্ন নেই, কেউ সাজায়নি বৌ-সাজে।
কুলির কাজ করা স্বামীর আয়ে অভাবই দূর হয় না, সেখানে আকাশ কুসুম চিন্তা করে লাভ কি?
এমন মানুষদের বিয়ের স্বাদটা উপহার দেওয়ার কাজ করছে বিদ্যানন্দ।
আবারও সাজানো হচ্ছে নতুন বৌ-জামাই করে, গাড়ি করে দূরের স্পটে গিয়ে তোলা হচ্ছে প্রিয় মানুষের ছবি। যৌবন হারিয়ে যাবে, কিন্তু এই ছবিগুলো স্মরণ করিয়ে দেবে স্মরণীয় সময়গুলো।
[‘টাকার অপচয়’ টাইপ কমেন্টের অগ্রিম উত্তর- ‘বিনা পয়সায় ছবি তোলেন ফটোগ্রাফারগণ, আর এতে যদি কিছু পরিবারকে আমৃত্য ভালো স্মৃতি দিতে পারি তবে কি অনর্থক হয়’]
কন্যা ছাড়া মুখে হাসি ফোটাতে পারছিলাম না বৌ-জামাইয়ের।
ওয়েডিং ফটোগ্রাফিতে এসে মুখ ভার করে ছিলেন পুরোটা সময়, বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকটি কৌতুক বলেও কিছু করতে পারছিল না। বারবার তাকাচ্ছিলেন অদূরে দাঁড়ানো মেয়ের দিকে। যে মুহূর্তে মেয়েকে কোলে তুলে দিলাম তখন চাঁদের হাসি যেন ফুটেছে।
বাসাবাড়িতে কাজ করা এমন সরল মানুষের জীবনে কিছুটা রঙ ছিটিয়ে দেওয়ার প্রজেক্টকে অনেকেই অনর্থক বলছেন। কিন্তু বস্তির ভাঙা ঘরে এই রঙিন ছবিটা কতটুকু অর্থ বহন করে, সেটা পরিবারগুলোই ভালো বোঝে।
(স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দের ফেসবুক পোস্ট)
এমএইচআর/এএসএম