মাছ নয়, জালে বোতল-চিপসের প্যাকেট ধরা পড়ে সমুদ্রে

‘সমুদ্রে প্রস্রাব করবেন না, একটু পরেই সেটা আপনার মুখে আঁছড়ে পড়বে।’ ‘মাছ নয়, জালে আজকাল বোতল আর চিপসের প্যাকেট ধরা পড়ে সমুদ্রে।’ ‘অনেক শিশুর কোমল পা রক্তাক্ত হয় আপনার ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকে’।
সোমবার (২১ মার্চ) স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ফেসবুক পেজে এমন বেশ কিছু মজার লেখাযুক্ত ব্যানার পোস্ট করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষণীয় ব্যানার সঙ্গে নিয়ে অপরিছন্ন সি-বিচ পরিষ্কারসহ নানান কাজ করে চলেছেন সংগঠনটির কর্মীরা।
ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত শুধু আমাদের নয়, সারাবিশ্বের এক সেরা সম্পদ। কিন্তু পর্যটকদের অবহেলায় এটা এখন ময়লার ভাগাড়। পরিছন্নতা নিয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে ও বিচকে ময়লামুক্ত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
‘আশা করবো, আপনিও সচেতন হবেন, সুন্দর প্রকৃতি দেখতে গিয়ে অসুন্দর কাজ আর করবেন না।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ওই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করতে থাকেন। আসাদ আলম নামে একজন লেখেন, ‘খুবই ভালো উদ্যোগ, আইনের থেকে সচেতনতা বেশি দরকার।’
হাবিব বাচ্চু লেখেন, ‘আমার মনে হয় সরকারিভাবে কিছু লোক নিয়োগ দিলে ভালো হবে। এটা পৃথিবীর সব জায়গায় আছে। ফরহাদ রেজা মন্তব্য করেন, ‘এগিয়ে যান সাথে আছি।’
নিবারণ রায় মন্তব্য করেন, ‘দয়া করে বাংলা বানানগুলো ঠিক করবেন।’ সাইমা বেগম লেখেন, ‘কিছুদূর পরপর ময়লা ফেলার গার্বেজ থাকলে আশা করা যায় মানুষ সচেতন হবে।’
নাজমুল হুদা কমেন্ট করেন, ‘সচেতন মানুষ অসচেতন কাজ বেশি করে। বিচে ভ্রমণকারী সবাই এর ক্ষতিকর দিক জেনেও কাজটি অবলীলায় করে যাচ্ছে।’ মারুফা মঞ্জরী খান সৌমী লেখেন, ‘খুব ভালো উদ্যোগ, কিন্তু বানানগুলো শুদ্ধ লেখা জরুরি।’
জাঘাট বরুয়া মন্তব্য করেন, ‘খুবই সুন্দর হয় যদি বেচে টয়েলেটের ব্যবহার থাকে।’ কাউসার আহমেদ মন্তব্য করেন, ‘ব্যানারের কথাগুলো বেশ ভালো। একদম আবেগের জায়গায় আঘাত করে’।
পোস্টে আবিদ হাসান লেখেন, ‘গত বছর যখন লাস্ট বার গেলাম তখন কফি খেলাম বিচে কিন্তু ওয়ান টাইম গ্লাসটা ফেলার জন্য একটা ডাস্টবিন কত খুঁজলাম পেলাম না। পরে বালি খুঁড়ে চাপা দিয়ে দিছি...যাতে দেখা না যায়।’
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা শিশুদের নিয়ে কাজ করে। সংগঠনটি পথশিশু, সুবিধাবঞ্চিত দরিদ্র ও অসচ্ছল শিশুদের মৌলিক শিক্ষা, আহার, চিকিৎসা এবং আইন সেবা দিয়ে থাকে।
বিদ্যানন্দ ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত। এরপর ২০১৪ সালের মার্চ মাসে চট্টগ্রাম শাখা ও ২০২০ সালের জানুয়ারিতে খাগড়াছড়িতে বিদ্যানন্দের দ্বাদশ শাখা চালু করা হয়। বিদ্যানন্দের ১১টির বেশি শাখা রয়েছে।
এমআরএম/এএসএম