পাকিস্তানের রাস্তায় বেরিয়ে যা দেখলেন, মানতে পারছেন না শোয়েব
করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা টের পাচ্ছে উন্নত দেশগুলোও। কিন্তু বাংলাদেশ, পাকিস্তানের মতো দেশের মানুষরা এখনও সেভাবে সচেতন হননি। তারা কোয়ারেন্টাইন কি সেটাও বুঝছেন না, লকডাউনে ছুটি পেয়ে ভাবছেন এই তো ঘুরে বেড়ানোর সময়!
করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের মতো দেশগুলো। কোনোভাবেই মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না। সারা বিশ্বে ১৭ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছেন ইতিমধ্যেই।
পাকিস্তানেও সরকারি হিসেবে ৯০০-এর মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ছয়জন। অথচ পাকিস্তানের নাগরিকদের অনেকেই এই সময়টায় বাইরে গিয়ে পিকনিক করছেন, কেউবা আবার ভ্রমণ করছেন পছন্দের জায়গাগুলো। রাস্তাঘাটেও লোক সমাগম কমছে না।
এই সংকটের মধ্যে জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে তো 'চক্ষু চড়কগাছ' শোয়েব আখতারের। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে পাকিস্তানের সাবেক এই গতিতারকা বলেন, ‘আমি জরুরি কয়েকটি কাজের জন্য আজ বের হয়েছিলাম। কারও সঙ্গে হাত মেলাইনি, কোলাকুলিও করিনি। আমার গাড়ির জানালা পুরোটা সময় বন্ধ ছিল, যত দ্রুত সম্ভব আমি বাড়িতে ফিরে এসেছি। কিন্তু আমি বাইরে যা দেখলাম, খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার!’
শোয়েব যোগ করেন, ‘দেখলাম চারজন একটি বাইকে করে ঘুরছে, তারা পিকনিক করতে যাচ্ছে। বাইরে মানুষজন একসঙ্গে খাবার খাচ্ছে। সেখান থেকে অন্য জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছে। এখনও কেন রেস্টুরেন্টগুলো খোলা, কেন সেগুলো বন্ধ করা হয়নি?’
প্রতিবেশি দেশ ভারতে ৪০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এরই মধ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। অথচ পাকিস্তানে তার উল্টো চিত্র। শোয়েব বলেন, ‘ভারতে মানুষ কারফিউয়ে আছে। পাকিস্তানে আমরা তাদের ঘোরাঘুরি আটকাতে পারছি না। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই তো মানুষের স্পর্শ থেকে ছড়ায় এটা, কিন্তু আমরা বাসায় থাকতে রাজি নই। আমরা কি করছি? এটা বিপজ্জনক, এটা মানুষের জীবন নিয়ে খেলা।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যেন পুরো দেশ লকডাউন ঘোষণা করেন সে আহ্বান জানিয়ে শোয়েব বলেন, ‘আমরা বুঝতেই পারছি না এটা কত বড় হুমকি। এমন গুজবে কান দেবেন না যে, এই ভাইরাস গরমে ছড়ায় না কিংবা তরুণদের আক্রান্ত করে না। মানুষজন অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাইরে যাওয়ার কি দরকার?’
এমএমআর/পিআর